পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী এবং দ-প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের স্থাবর, অস্থাবর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় সংসদ।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা সংসদে গৃহীত হয়।
ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির উত্থাপিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ছিল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হউক।’ প্রস্তাবটিতে ১০ জন এমপি সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। এই ১০ জনই অবিলম্বে এটি কার্যকর করার দাবি করেন।
সিদ্ধান্ত প্রস্তাবকারীর বক্তব্য শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার ব্যাখ্যা প্রদানকালে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে এদের বাংলাদেশে কোন সম্পত্তি রাখার অধিকার নেই। এটা আমি বিশ্বাস করি, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে। এদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি যা পাওয়া যাবে বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে বঙ্গবন্ধু নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেয়া হলো, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন কোন বিশেষ আইনে নয়, সাধারণ আইনেই এই বিচার হবে। আইনের ধারা বজায় রেখে এদের বিচার হয়েছে। বিচারে যারা দ-প্রাপ্ত হয়েছেন, যাদের ফাঁসির দ- কার্যকর হয়েছে অর্থাৎ তারা যখন মারা গেছেন তাদের সব সম্পদ ওয়ারিশদের হাতে চলে গেছে। এ জন্য এই সম্পদ ফিরিয়ে আনতে নতুন আইন লাগবে। আজ যারা পলাতক আছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের জন্য আইনের প্রয়োজন নেই। আমি স্বস্তির সঙ্গে বলছি, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু হয়ে গেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যিনি বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন, তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের সম্পত্তি যেমন তারা রাখতে পারে না; তেমনি বাংলাদেশের জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন, আন্দোলন করেছেন, তাদের যারা হত্যা করেছে তারাও সম্পত্তি রাখতে পারে না। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই সংসদেই আইনটি আনা হবে এবং মহান সংসদ আইনটি গ্রহণ করবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে জাতির মধ্যে যে রক্ষক্ষরণ শুরু হয়েছে তা আজও বন্ধ হয়নি। কোনো ডাক্তার সেলাই করে এই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারবে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-১৯৯৬ পযন্ত বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু বলা যায়নি। শেখ মুজিবুর রহমান বলতে দেখা গেছে। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে বাংলাদেশে তাদের কোনো সম্পত্তি থাকতে পারে না। তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে, তাদের সম্পত্তি তাদের ওয়ারেশগণ ভোগ করছে। তাদের সম্পত্তি আইন মাফিক বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আর যারা পলাতক রয়েছে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই কাজ শুরু হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, যারা পলাতক রয়েছে আগে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবো। যাদের রায় কার্যকর করা হয়েছে আইন করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। বাংলাদেশে তাদের সম্পত্তি থাকতে পারে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।