পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : তুরস্ক অসন্তোষ জানিয়ে এলেও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার থেকে সরকার বিন্দুমাত্র পিছু হটবে না বলে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বলে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক মঙ্গলবার সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তাকে এই বার্তা জানিয়ে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের যে বিচারকাজ আমরা শুরু করেছি, সেটা আমরা করবই। দেশের মানুষেরও এটা সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে আমরা ম্যান্ডেট লাভ করেছি, সেটা আমরা তাকে (রাষ্ট্রদূত) অবহিত করেছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ নিয়ে পাকিস্তানের মতো তুরস্কও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করে আসছে। নিজামীর ফাঁসির প্রতিবাদের পর তুরস্ক সরকার ঢাকা থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত ওজতুর্ককে আঙ্কারায় ফিরিয়ে নিয়েছিল। পরে তাকে আবার পাঠানো হয়।
তোফায়েল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস অত্যাচার-নির্যাতনের কথা তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। যার কারণে আমরা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধীদের বিচার করতে বাধ্য হয়েছি। তাদের বিচারে ফাঁসির হুকুম হয়েছে, সেই দ- কার্যকর হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর তুরস্কও যে এখন মৃত্যুদ- ফিরিয়ে আনার বিষয়টি ভাবছে, তা নিয়েও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার।
তুরস্কের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চায় বাংলাদেশ
তুরস্কের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল বলেন, তুরস্কের সাথে আমরা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে চাই। দুই দেশের বাণিজ্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার এবং এটা বাংলাদেশের পক্ষে। আমরা এই বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করতে চাই। তুরস্কের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে পারলে বাংলাদেশের রফতানি আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট ডেভেলপিং-এইটের (ডি এইট) সদস্যদের মধ্যে একমাত্র স্বল্পোন্নত বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটাতে তুরস্কের সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনায় স্থান পায়। তোফায়েল বলেন, রুলস ও অরিজিনকে আরও আমাদের পক্ষে নিতে চাই, আরও রিল্যাক্স করতে চাই। ডি এইটভুক্ত অধিকাংশ দেশই এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। আমরা তুরস্কের কাছে এ ব্যাপারে সম্মতি চাই যেন বাংলাদেশের পক্ষে আরও নমনীয় করতে পারি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মনোজ কুমার রায় ও অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মুন্সী সফিউল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।