রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে কামরুল হাসান : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গীপাড়া সংসদীয় আসনের নৌকার প্রার্থী বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরাবরের মতো এবারো তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের সংসদীয় আসন-৩ কোটালীপাড়া-টুঙ্গীপাড়া থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবিত থাকাকালীন এখান থেকে দলের অন্য কোনো নেতা মনোনয়ন চান না এবং চাইবেন না। এ আসনটি দু’টি উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে ১১টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা নিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা, ভোটার সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৬৯ হাজার ও পাঁচটি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত টুঙ্গীপাড়া উপজেলায় ৭২ হাজার ২১২ জন ভোটার রয়েছে। অপর দিকে, দলের পদ-পজিশন ধরে রাখতে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এসএম জিলানী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান হওয়ায় তাকে এবং তার দল আওয়ামী লীগকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে থাকেন ভোটাররা। তারা জানান, আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, যার ফলে প্রধানমন্ত্রীও নিজেকে গর্বিত মনে করে এলাকার উন্নয়ন কর্মকাÐের উপর বিশেষ নজরদারি এবং সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখেন। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া, পৌরমেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাজী মো. কামাল হোসেন শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিনুজ্জামান খান মিলন, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু, শেড গ্রæপের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ স্বাচিপ কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম মহাসচিব ডা. সঞ্জয় বাড়ৈ জয়, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ সাধারণ সম্পাদক ’৭১-এর গ্রæপ কমান্ডারের সন্তান বুলবুল আহম্মেদ হাজরা বলেন, দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে এ অঞ্চলের ভোটাররা। আমরা চাই শেখ হাসিনা যতদিন বেঁেচ থাকবেন এই আসন থেকে নির্বাচন করবেন, শেখ হাসিনা ছাড়া বিকল্প নেই। কারণ সে আমাদের অভিভাবক, তাকে এবং তার প্রতীক নৌকা ছাড়া অন্য কিছু এখানকার ভোটাররা চিনে না, ইতোমধ্যে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু হাজার হাজার জনতাকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে নৌকায় ভোট চেয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন। ভোটাররা বলেন, শেখ হাসিনা ৯ বছর ধরে সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন এবং নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এস এম জিলানী, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা জিততেও পারি বা কন্টেস্ট হবে, অন্য শরিক দলের নাম শোনা যায়নি। হয়তো তারা আমাদের সাথে নির্বাচন করবে। তিনি আরোও বলেন, রাজনৈতিক অধিকার যদি দিত সরকার, তাহলে কোটালীপাড়ায় এখনো অনেক লোক আছে; যারা আমাদের রাজনীতি করে, এখন তো রাজনৈতিক সঠিক অধিকার নেই, সঠিক কথা বলতে গেলে মামলা-হামলা এ জন্য মানুষ চুপচাপ আছে। যদি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তখন ভোটের মাধ্যমে দেখানো হবে কোটালীপাড়ার কত লোক বিএনপি করে। সাধারণ সম্পাদক আবুল বসার হাওলাদার বলেন, আমাদের প্রার্থী এস এম জিলানী এখানে আমরা এবং আমাদের দল চায় সারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন, তাহলে আশা করি আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ভোট পাব, একেবারে প্রতিদ্ব›িদ্বহীন নির্বাচন হবে না, এখানে নেত্রীর সিট এটা আমরা স্বীকার করি। জিলানী ভাই আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী, সংগঠন সেই প্রস্তুত নিয়ে আছে। এখানে প্রধানমন্ত্রী নয় বিরোধী দলের নেত্রী, এর বাইরে তো কিছু না। এখানে শক্ত প্রার্থী ছাড়া কেউ তার প্রতিপক্ষ হতে আসে না। জিলানী ভাই সেন্ট্রাল ছাত্র রাজনীতি করেন বিধায় ম্যাডাম তাকে এখানে দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।