নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ষাটের দশকের ফুটবল খেলোয়াড়, বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ফিফা রেফারিদের একজন এবং বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের তিনবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মূনীর হোসেন আর নেই। দীর্ঘদিন বহুমূত্র রোগে ভুগে গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। মূনীর হোসেন দু’মেয়ে ও নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। কাল বাদ আসর রাজধানীর মানিকনগর জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে গোপীবাগস্থ পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বহুমূত্র রোগে ভুগছিলেন মুনীর হোসেন। আরোগ্য লাভের জন্য কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সুস্থ হয়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি প্রথিতযশা এই ক্রীড়া সংগঠকের। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মূনীর হোসেন ক্রীড়া পুরস্কারের মুখ না দেখেই পরলোকে পাড়ি জমান।
১৯৫২ সালে ফুটবলার হিসেবে আতœপ্রকাশ করলেও চোটের কারণে বেশী দিন ফুটবল খেলা হয়নি মুনীর হোসেনের। খেলা ছেড়ে দিলেও ফুটবলকে ছাড়তে পারেননি তিনি। নতুন রূপে ঢাকার মাঠ কাঁপান সাবেক এই ফিফা রেফারী। ১৯৬০ সালে রেফারি হিসেবে শুরু। ১৯৬৮ তে রেফারিদের পরীক্ষায় প্রথম হন। আন্তর্জাতিক ফিফা রেফারি হন ১৯৭৪ সালে। ফিফার প্রথম বাংলাদেশি চারজন রেফারির একজন ছিলেন মূনীর হোসেন। বাকি তিনজন- ননী বসাক, মহিউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী ও নূর হোসেন আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। মরহুম মুনীর হোসেন কুয়েতে সপ্তদশ এশীয় যুব ফুটবল, থাইল্যান্ডে প্রথম কিংস কাপ ফুটবল, ইরানে ১৯তম যুব ফুটবলসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন কৃতিত্বের সঙ্গে।
১৯৮২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা লিগের শেষ খেলা মোহামেডান ও আবাহনীর মধ্যকার সেই আলোচিত গোলযোগপূর্ণ ম্যাচের রেফারি ছিলেন মূনীর হোসেন। ওই ম্যাচে একটি গোল নিয়ে বিতর্ক আর ভাঙচুরের জেরে জেলে যেতে হয়েছিল আবাহনীর ১২ জন খেলোয়াড়কে। পরদিন দুই বিদেশীসহ আটজনকে ছেড়ে দিয়ে কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, গোলাম রব্বানী হেলাল ও কাজী আনোয়ারকে বিভিন্ন মেয়াদে সামরিক আদালত কারাদন্ড দিয়েছিল। পরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হস্তক্ষেপে মুক্তি পান তারা। ঘটনাবহুল ওই ম্যাচে মোহামেডান ১-০ গোলে জিতে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সত্তর ও আশির দশকের সাড়া জাগানো ফুটবল রেফারি মূনীর বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৮ সালে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হন। তিন দফায় ২৬ বছর এই ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষও ছিলেন। বাংলাদেশ কাবাডি রেফারি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানও ছিলেন মূনীর হোসেন।তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, কাবাডি ফেডারেশন, হ্যান্ডবল ফেডারেশন, বাফুফে রেফারিজ কমিটি, আরচ্যারি ফেডারেশন, বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থা, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস কমিউনিটি ও বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতসহ বাংলাদেশের সকল ফুটবল ক্লাব ও বিভিন্ন সংগঠন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।