রাজধানীর রামপুরার বাগিচারটেক এলাকায় ১৪টি কুকুর ছানা ও দুইটি মা কুকুরকে পিটিয়ে আহত করে জীবিত মাটিচাপা দিয়ে হত্যার অপরাধে এলাকার নিরাপত্তাকর্মী ছিদ্দিককে (৪৫) ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো: আহসান হাবীব এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ছিদ্দিককে ২০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো সাত দিন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বাগিচারটেক কল্যাণ সমিতির নিরাপত্তাকর্মী ছিদ্দিক ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে বাগিচারটেকের খালি প্লটে থাকা দুইটি মা কুকুরকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এ ছাড়া ১৪টি বাচ্চাকে বস্তায় ভরে সবগুলোকে জীবিত মাটিচাপা দেন। এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল বাদী হয়ে রামপুরা থানায় ১৯২০ সালের প্রাণির প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনের ৭ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় রামপুরা থানার এসআই নাছির উদ্দিন গত ৩০ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচারকাজ চলাকালে ১৫ জন সাক্ষির মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিনু রানী রায় আর আসামিপক্ষে ছিলেন কাশেম আলী। দণ্ডপ্রাপ্ত ছিদ্দিক ভোলা জেলার চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে।