পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ময়ূর নদ বাঁচান
খুলনার ঐতিহ্যবাহী ময়ূর নদ দখল ও দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। খুলনা শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া এ নদটি দখল করে প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে। একসময় যে নদে নৌকা চলাচল করত, এখন সেখানে কোনো গতি নেই, প্রাণ নেই। সুুইসগেট দিয়ে অপরিকল্পিত পানি নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ময়ূর নদে জোয়ার-ভাটা বন্ধ হয়ে গেছে, যা নদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিটি করপোরেশনের বর্জ্যরে একাংশ, নদীর আশপাশের কসাইখানার বর্জ্য ও সংযুক্ত থাকা বিভিন্ন নালা দিয়ে আসা কলকারখানার বর্জ্যে ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ নদের দূষণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ ছাড়া নদের দুই পাড়ে দখলদারদের দৌরাত্ম্য চলছেই। কোথাও বেড়া দিয়ে, আবার কোথাও বাঁধ দিয়ে অবৈধ সব স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। দখলে নদের আয়তন সংকুচিত হয়ে গেছে। একসময়ের খর¯্রােতা নদ দখলের কারণে পলি পড়ে নাব্য সংকটে ভুগছে। নতুন করে যোগ হয়েছে কচুরিপানার দূষণ। নদটির একাংশে কচুরিপানা পচে দূষণে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, মৎস্য ও জলজ প্রাণীর জীবনধারণের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) প্রতি লিটারে ৫ মিলিগ্রাম বা এর ওপরে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ময়ূর নদে তা নেই। ফলে নদে ছোট মাছ ও প্রাণীবৈচিত্র্য বিলীন হওয়ার পথে। নদের পানি দূষণ বন্ধে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। নদটির নাব্য সংকট মোকাবেলায় পরিকল্পিত ড্রেজিং করতে হবে। নদের পাড়ে সব প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার পাশাপাশি নদের সীমানায় নতুন কোনো স্থাপনা তৈরির ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্নিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সাধন সরকার
সাবেক শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণহীন যানজট
দশ মিনিটের রাস্তা আড়াই ঘণ্টা! সালনা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা সময়ের দূরত্ব এখন ন্যূনতম দেড় ঘণ্টা। হতবাক হয়ে বসে না থেকে কোনো উপায় নেই। যে কোনো মূল্যে এই বিষয়গুলো অতি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। প্রয়োজনে দিনে ভারী সব যানবাহন বন্ধ রাখা হোক। বিশেষ করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে ব্যবহূত যানবাহন, কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য যানবাহন রাত ১০টার পর থেকে চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বিবেচনায় আনা যেতে পারে। নৌ ও রেলপথকে পণ্য পরিবহনে বিপরীত ব্যবহার করানো যায় কি-না, তাও ভাবা যেতে পারে। লেগুনা স্ট্যান্ড গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে সালনায় সরিয়ে আনা ও লেগুনা সালনা পর্যন্ত চলাচল করার ব্যবস্থা করা হোক। মহাসড়কে থাকা বাজার উচ্ছেদ করা হোক। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ইউটার্নের জন্য সব ধরনের ডিভাইডার বন্ধ করে দেওয়া হোক। রাস্তার যেখানে যেখানে পানি জমে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে, সেসব জায়গায় আপাতত পানি অপসারণ করে চলাচলের ব্যবস্থা করার ব্যপারে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। গাজীপুর চৌরাস্তায় সব ধরনের গাড়ি থামানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। অ্যাম্বুলেন্স, বৃদ্ধ এবং শিশুদের জন্য রাস্তা এখন এক নরকের নাম। গাজীপুর চৌরাস্তায় একে তো ময়লার গন্ধ, তার সঙ্গে তীব্র জ্যাম হয়ে মানুষের কষ্ট-যন্ত্রণা সীমাহীন। আশা করি, প্রশাসন এ ব্যপারে দ্রæত পদক্ষেপ নেবে।
সাঈদ চৌধুরী
শ্রীপুর, গাজীপুর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।