মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : স্পেনে পাঁচ ব্যক্তিকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে উঠেছে রাজপথ। গত শনিবার এ রায়ের প্রতিবাদে দেশটির পাম্পলোনায় হাজার হাজার নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। উত্তাল বিক্ষোভের মুখে বিদ্যমান আইনকে নতুন করে পর্যালোচনার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে এসব কথা জানা গেছে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ প্রদর্শন করল তারা। আদালত ওই পাঁচ ব্যক্তিকে, যারা নিজেদেরকে ‘উল্ফ প্যাক’ নামের গ্রæপের সদস্য বলে দাবি করে, যৌন হয়রানির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। এ জন্য তাদের প্রত্যেককে নয় বছর করে কারাদÐ দেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায় দেন আদালত। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আদালত আসামিদের প্রতি একটু বেশিই ‘দয়ালু’ হয়ে রায় দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবারের এ রায় স্পেনব্যাপী জাতীয় বিক্ষোভের জন্ম দেয়। প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে রাজধানী মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ভ্যালেন্সিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোও। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর বয়স ১৮ বছর। গত ষাঁড়দৌড় উৎসবের সময় পাম্পলোনায় ধর্ষণের শিকার হয় বলে দাবি করে সে। তার ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর স্পেনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘কুয়েনতালো’ বা ‘এটি বল’ আন্দোলনে যৌন নিগ্রহের শিকার অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। এদিকে, স্পেনের সরকারি আইনজীবীরাও দাবি করেছেন, এ মামলায় আসামিদের কমপক্ষে ২০ বছরের জেল হওয়া উচিত ছিল। খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণার পর থেকেই স্পেনে ৩ দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। প্রতিবাদে স্পেনে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার পাম্পলোনা শহরের বিক্ষাভে যোগ দিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বিচারকরা প্রমাণ পেয়েছেন, মামলার বাদী একটি সংকীর্ণ ও গোপন স্থানে পাঁচ ব্যক্তির দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিলেন। পুরুষ্ট শরীরের পুরুষেরা তাকে আচ্ছন্ন ও অসাড় অবস্থায় ফেলে চলে যায়। ভিডিওতে দেখা গেছে বাদীকে ঘিরে রেখে দুই অভিযুক্ত তাকে দেওয়ালের দিকে ঠেস দিয়ে রেখেছেৃতিনি অমনোযোগী হয়ে মুখ বিকৃত করে রেখেছেন আর চোখ বন্ধ করে রয়েছেন। তবে এইসব আলামতকে স্পেনের বিদ্যমান আইনে ধর্ষণ প্রমাণের জন্য পর্যাপ্ত মনে করা হয়নি। তাই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কেবল যৌন নিপীড়নের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, ধর্ষণে নয়। দেশটির এক প্রভাবশালী স্থানীয় দৈনিককে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, সহিংসতা ও হুমকিধামকির প্রমাণ হাজিরের কাজটি মোটেও সহজ নয়। সংবাদপত্রটি লিখেছে, এটা গুরুতর প্রশ্ন হাজির করেছে। প্রশ্নটি হলো, হত্যাকাÐের শিকার না হয়ে কেবল ধর্ষিত হওয়ার মতো ঘটনা এড়াতে নারীদের আর কী করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনাকে যৌন স্বাধীনতার ওপর ভয়াবহ আক্রমণ হিসেবে স্বীকৃত করতে এবং ধর্ষকদের লঘু শাস্তির দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসানে আর কতো লড়তে হবে নারীদের। স্পেনের বিদ্যমান যৌন নিপীড়নবিরোধী আইনের কথা বলতে গিয়ে মাদ্রিদের সায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মরিয়ম মারির্টনেজ বাসকুনান ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ওই আইনে সহিংসতা ধারণায়িত হয়েছে পুরুষের অভিজ্ঞতাকে উপজীব্য করে। এক নারী বিক্ষোভকারী স্থানীয় রেডিও স্টেশন আরটিভিইকে বলেছেন, ‘বিচার এখনও পুরুষতান্ত্রিক। এটা আমাদের দোষারোপ করে আর আমরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ি।’ ‘কেউ আমাদের মতামতের বিচার করে না’ লেখা ব্যানারের সামনে জড়ো হয় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।