Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সিলেটে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় মামলা

সিলেট অফিস | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৪২ পিএম

সিলেটের বিয়ানীবাজারে ব্যবসায়ী শহিব উদ্দিন হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে নিহতের ছেলে আজহারুল ইসলাম আবিদ বাদী হয়ে আটক জাকির হোসেনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। বিয়ানীবাজার থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়িসহ অনেক আলামত জব্দ করা হয়েছে। জাকির ছাড়াও হত্যায় আরও ৪ থেকে ৫ জন জড়িত ছিল। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুরঞ্জিত দাস বলেন, আটক জাকির হোসেন পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। জাকির সিলেটের আখালিঘাট এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে।
তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় জাকিরের স্ত্রী রিপা বেগম, শ্বাশুড়ি সুলতানা ও বাবা সামসুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে তাদের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তাছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ি জাকিরের বাড়ি সিলেট নগরের আখালিয়াঘাট থেকে জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাকির হোসেন আদম পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমেরিকা নেওয়ার নামে ব্যবসায়ী শহিব উদ্দিনের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে আমেরিকায় পাঠাতে না পারায় টাকা ফেরত চান শহিব উদ্দিন। আমেরিকায় বাড়ি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, প্রসেসিং চলছে- এ রকম বিভিন্ন মিথ্যা কথা বলে বুঝ দিতে থাকেন।
টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শহিব উদ্দিনকে খবর দিয়ে সিলেটে নেয় খুনিরা। এরপর শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে বিয়ানিবাজার-সিলেট সড়কে উপজেলার গাছতলা এলাকা থেকে শহিব উদ্দিনের (৬০) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে খুনের ঘটনার তদন্তে করতে গিয়ে চক্ষু চড়ক গাছ পুলিশের। ঘাতক জাকিরের বাসা থেকে প্রায় দেড় সহস্রাধিক নথিপত্র জব্দ করা হয়। এসব নথিপত্রে একটি মেইল যোগাযোগের ফাইলও ছিল। এতে আফতাবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির ব্যক্তির ই-মেইল আইডি থেকে নথি আদান- প্রদানের প্রমাণ পায় পুলিশ। শহিব উদ্দিন খুনে ঢাকার একজন ও যুক্তরাষ্ট্রের জনৈক বাসিন্দার ইন্ধন মিলেছে বলেও সূত্র জানায়।
ওসি শাহজালাল মুন্সি বলেন, আদম পাচারে জাকির জড়ির থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। কেননা, জাকিরের বাসা থেকে দেড় হাজারের মতো বিভিন্ন ব্যক্তির আইডি, নাগরিক সদন, ছবি উদ্ধার করা হয়েছে।
জাকিরকে গ্রেফতারে অতি অল্প সময়ে মামলার ক্লু উদঘাটন সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যবসায়ী হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ