নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগে খেলায় বন্ধুত্ব ছিল, সৌহার্দ্য ছিল। এখন নাকি সব কিছু হয়ে গেছে তেতো। খেলায় জিততে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছেন খেলোয়াড়রা। আর সেটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে খেলাধুলোর চেতনাকে। আইসিসির বোর্ড সভায় গিয়ে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ে আইসিসির ভাবনার কথা শুনে এসেছেন।
গত বৃহস্পতিবার আইসিসির বোর্ড সভা বসেছিল কোলকাতায়। একদিন পর সেই সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেন বিসিবি প্রধান। বিশ্বকাপসহ বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে সূচি আগেই জানা গেছে। এর বাইরে মাঠের খেলার পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের কথা জানালেন নাজমুল, ‘দুটি জিনিস নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে- খেলোয়াড়দের আচরণ। সব সময়ই বলে এসেছি, হারজিত বড় নয় ভালো খেলাটাই আসল। বাংলাদেশ যখন খেলা শুরু করল, খেলাটা এমন ছিল প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে আগেরদিন বসে এক দল আরেক দলের সঙ্গে গল্প করত। একটা সৌহার্দ্য, স¤প্রীতি, ভালোবাসা ছিল। আস্তে আস্তে খেলাটা যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে।’
নিদহাস কাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে দুদলের খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ে সমালোচনা আছে অনেক। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত না মেনে মাঠ থেকে দলকে বের করে আনতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা তা খোলাসা না করলেও নাজমুল জানালেন আইসিসি চায় সবাই যেন সবাইকে সম্মান করে। খেলোয়াড়দের আরও নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন কোড অব কন্ডাক্টের কথাও নাকি ভাবছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা, ‘পেশাদারিত্ব যত বাড়ছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা যত বাড়ছে, তত মনে হয় বন্ধুতা হারিয়েই যাচ্ছে! জেতার জন্য এখন যা খুশি হচ্ছে। এর জন্য অনেক ঘটনা ঘটেছে ক্রিকেটে। আগে এতটা দেখা যায়নি। কোড অব কন্ডাক্ট নিয়ে আইসিসিতে আলোচনা হয়েছে। আমরা কেন খেলি? আমরা সবাইকে সম্মান দেখাতে চাই।’
এসময় তাকে কথা বলতে হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার টি-২০তে ফেরা নিয়েও। স¤প্রতি বিসিএলের ম্যাচ খেলার সময় বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, অন্তত আরও দুবছর টেস্ট খেলার সামর্থ্য আছে তার। সেজন্য নিজেকে আরও তৈরি করার কথাও বলেছিলেন তিনি। তবে দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের টেস্ট ফিটনেস নিয়ে সংশয়ে আছেন পাপন, ‘জানি না, সে টেস্টে ফিট কি না। কোথায় কোন দেশে টেস্ট খেলবে সে? দেশের বাইরে? তাহলে প্রতিদিন ওকে অন্তত ২০ থেকে ২৫ ওভার বোলিং করতে হবে। ও বলছে, পারবে? তাহলে তো আমাদের কিছু বলার নেই। ফিজিও যদি অনুমতি দেয় আর সে যদি বলে পারে তাহলে অবশ্যই স্বাগত জানাব। তবে আমাদের এ নিয়ে ধারণা নেই। যদি মনে করেন আমাদের দেশে খেলা, তাকে দিয়ে মাত্র ২ বা ৩ ওভার করাব, সেটা ভিন্ন বিষয়।’
এমনকি টেস্টে মাশরাফির ভূমিকা কি হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবি প্রধান। তবে ফিট মাশরাফিকে সব ফরম্যাটেই খেলানোর পক্ষে মত তার, ‘সে কী হিসেবে আসতে চায়, ব্যাটসম্যান না বোলার? এটা বড় প্রশ্ন। আমি মনে করি সে যদি ফিট থাকে যেকোনো সংস্করণেই তার খেলা উচিত। তার মতো খেলোয়াড় পাওয়া কঠিন। বড় দৈর্ঘ্যরে ক্রিকেটে খেলাটা তার এবং ফিজিওর ওপর নির্ভর করছে।’ মাশরাফির নিজেরও অবশ্য এখনি টেস্টে ফেরার চিন্তা নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই মৌসুমে তিনটি দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলার পেছনে ওয়ানডে প্রস্তুতিই মুখ্য ছিল বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক।
গত বছর আক্ষেপ নিয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন মাশরাফি। গুঞ্জন আছে সেসময় কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথায় তাকে অবসর নিতে বাধ্য করেছিল বোর্ড। হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর মাশরাফিকে টি-টোয়েন্টিতে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি। আবারও মাশরাফির চাওয়ার কথা শুনিয়েছেন বোর্ড প্রধান, ‘আমাদের ধারণা সে যদি ওয়ানডে খেলতে পারে টি-টোয়েন্টিও খেলা উচিত। ১০ ওভার যদি করতে পারে, ৪ ওভারও তার করা উচিত। এ কারণে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে। তখন সে আগ্রহ দেখায়নি। আমরা ধরে নিচ্ছি তার আগ্রহ নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।