পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বেপরোয়া গতি
মানুষ সামাজিক জীব। জীবন বাঁচার তাগিদে মানুষকে ঘরের বাইরে বেরোতেই হয়। জীবিকার সন্ধানে দেশ থেকে বিদেশে ছুটতে হয়। এ জন্য কোনো না কোনো বাহনে মানুষকে উঠতেই হয়। কারণ যানবাহনই মানুষের প্রধান মাধ্যম। লঞ্চ, স্টিমার, বিমান, বাস, মিনিবাস, বাইক, নছিমন, সিএনজি, অটো-এসব মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহূত হয়। কিন্তু বর্তমানে কোনো বাহনই নিরাপদ নয়। পত্রিকায় চোখ রাখলেই দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়। আকাশপথ, সড়কপথ ও পানিপথের দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সড়কপথের দুর্ঘটনা মানুষকে ভীষণভাবে চিন্তিত করেছে। প্রতিদিনই অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। যে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। অনাকাঙ্ক্ষিত এ দুর্ঘটনার অনেক কারণের মধ্যে চালকের বেপরোয়া গতি ও খারাপ রাস্তা দুর্ঘটনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। রাস্তায় গাড়ির বেপরোয়া গতি মানুষকে আতঙ্কিত করছে। এতে যেমন হারাচ্ছে তাজা প্রাণ, তেমনি হারাচ্ছে দেশের সুনাম। দেশের একেকটি প্রাণ একেকটি সম্পদ। দেশ উন্নয়নের হাতিয়ার। এভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় আর কোনো প্রাণকে হারাতে চাই না। দুর্ঘটনা এড়াতে হলে সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি চালকের প্রতি তীক্ষষ্ট দৃষ্টি দিতে হবে। বেপরোয়া গতি রোধ করতে হবে। অন্যথায় সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
চাপানীহাট, ডিমলা, নীলফামারী
টেকনাফে বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধ করুন
প্রকৃতি, পরিবেশের ভারসাম্য, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বন্যপ্রাণীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বনের পশু-পাখি নানাভাবে মানুষের উপকারই করে। তবু যেনতেন কারণে বন্যপ্রাণী শিকার করা হয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, টেকনাফে ১১টি বনবিটে বন্যপ্রাণী হত্যাযজ্ঞ চলছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের হাতে এ ধরনের কর্মকাÐ সংঘটিত হচ্ছে। সঙ্গে স্থানীয় জনগণও জড়িত। শূকর, বনমোরগসহ নানা রকম পশু-পাখি নির্বিচারে শিকার হচ্ছে। দূরত্ব, লোকবল ও যানবাহনের অভাবের কারণ দেখিয়ে বন বিভাগ সেখানে তৎপর নয়। বন বিভাগের সূত্রমতে, টেকনাফে ২৪৩ প্রজাতির পাখি, ৪৩ প্রজাতির পশু রয়েছে। যদিও সব প্রজাতির পাখি-পশু এখন আর দেখা যায় না। অবাধ শিকারে হারিয়ে গেছে। রইক্ষং, হোয়াইক্যং, হ্নীলা, শীলখালী, রাজারছড়া বিটে বেশি বন্যপ্রাণী শিকার হচ্ছে। এ অবস্থার পরিণতি ভালো নয়। অচিরেই টেকনাফ এলাকা বন্যপ্রাণীশূন্য হয়ে পড়বে। তাই দ্রæত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বানারীপাড়া, বরিশাল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।