নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সবুজ উইকেটে বিধ্বংসী বোলিং করলেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। তাতে অবশ্য মধ্যাঞ্চলের লিড আটকানো গেল না। হাতে ৯ উইকেট থাকলেও এখনো ৬১ রানে পিছিয়ে রাজ্জাকের দক্ষিণাঞ্চল। দিন এখনো দুটি বাকি। সবুজ উইকেটের কথা মনে হলে শঙ্কা কিন্তু রয়েই যায়।
রাজশাহীতে শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথম দিনই ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ। জবাবে ২ উইকেটে ১৫৪ রানে দিন শেষ করে মধ্য। হাতের ৮ উইকেটে কাল মাত্র ১৫২ রান করতে পারে মাহমুদইল্লাহর দল। ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন প্রায় সবাই। তবে পঞ্চাশোর্ধো ইনিংস আসে কেবল সাদমান ইসলাম (৯৩) ও ইরফান শুক্কুরের (৫৪) ব্যাট থেকে। ৩০২ রানে থেমে যায় মধ্যাঞ্চলের ইনিংস।
আগের দিন ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সাদমান। কাল সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দুরে থাকতে রাজ্জাকের শিকার হয়ে সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন এই ওপেনার। তবে দিনের পঞ্চম ওভারে মার্শাল আয়ুবকে ফিরিয়ে উইকেট উৎসবের শুরু করেন রাজ্জাক। এরপর একে একে তুলে নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, শুক্কুর, মোশাররফ, আবু হায়দারের উইকেট। আগের দিন ফিরিয়েছিলেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসানকে। সব মিলে ১০৬ রানে নেন ৬ উইকেট। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩২ বারের মত ইনিংসে ৫ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট নিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার। ৩ উইকেট নেন ডানহাতি তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসান। জবাবে ১১১ রানে পিছিয়ে থেকে ১৯ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় দক্ষিণ। তা থেকে ৫০ রান তুলতে গিয়ে ১ উইকেট হারায় নুরুল হাসানের দল।
মিরপুরে উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের ম্যাচটি গড়াচ্ছে ড্রয়ের দিকে। দুই দিন পার হলেও এখনো প্রথম ইনিংসই সেখানে শেষ হয়নি। জহুরুল ইসলাম ও আরিফুল হকের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪১৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়া উত্তরের মোক্ষম জবাব দিচ্ছে পূর্ব। কাল তারা ২৭ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়। তা থেকে কোন উইকেট না হারিয়ে তুলে নেয় ১১০ রান। বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ব্যাট করছেন দুই ওপেনার তাসামুল হক (৪৯*) ও লিটন দাশ (৫২*)।
৫ উইকেট ও ২০৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে উত্তর। জহুরুল ৪৩ ও আরিফুল ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম সেশনে পূর্বাঞ্চলের বোলারদের হতাশ করেন তারা। দ্বিতীয়া সেশনে অধিনায়ক জহুরুলের বিদায়ের মাধ্যমে ভাঙে তাদের ১৮৪ রানের জুটি। এর আগে জহুরুল তুলে নেন প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে ১৩তম শতক। সপ্তম শতক তুলে নিয়ে আউট হন আরিফুল। ৯১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পূর্বাঞ্চলের সেরা বোলার সোহাগ গাজী।
উত্তরাঞ্চল- পূর্বাঞ্চল, মিরপুর
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : (প্রথম দিন শেষে ২০৪/৫) ১২২.৪ ওভারে ৪১৫ (মিজানুর ৪৬, জুনায়েদ ৭, শান্ত ৭৩, ফরহাদ ৮, জহুরুল ১১৩, ধীমান ১, আরিফুল ১০১, তাইজুল ৩০, শফিউল ১৭*, শরিফুল ২, ইয়াসিন ০; আবু জায়েদ ১/১২০, সাইফ ১/৫৮, খালেদ ১/৫১, সোহাগ ৪/৯১, আশরাফুল ২/৬৩, মুমিনুল ১/২৮)।
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২৭ ওভারে ১১০/০ (তাসামুল ৪৯*, লিটন ৫২*; শফিউল ০/২৫, ইয়াসিন ০/২১, তাইজুল ০/২৮, শরিফুল ০/১৭, আরিফুল ০/১২)।
দক্ষিণাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, রাজশাহী
দক্ষিণাঞ্চল : ১৯১ ও ১৯ ওভারে ৫০/১ (আনামুল ৩১*, ফজল ৯, ইমরুল ১০*; আবু হায়দার ০/১১, শাকিল ০/৭, এবাদত ০/১৯, মোশাররফ ০/৬), তানবীর ০/৫, মাহমুদউল্লাহ ০/২)।
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : (আগের দিন শেষে ৩৫ ওভারে ১৫৪/২) ৮৮.৩ ওভারে ৩০২ (সাইফ ৩০, সাদমান ৯৩, মাজিদ ৪৪, আয়ুব ১৫, মাহমুদউল্লাহ ১৪, তানবীর ২২, শুক্কুর ৫৪, মোশাররফ ২৮, আবু হায়দার ০, শাকিল ১, এবাদত ০; রাব্বি ০/৭৭, জিয়াউর ০/২৮, নাঈম হাসান ৩/৮৩, আনামুল ০/৭, রাজ্জাক ৬/১০৬)।
*দ্বিতীয় দিন শেষে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।