Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

তামাকজাত পণ্যের অবাধ ব্যবহার নয়
শ্বাস-কাশি, ফুসফুসে সমস্যা, হার্টে সমস্যা, লিভারজনিত সমস্যা আজ অনেকের যেন নিত্যসঙ্গী, শুধু তামাক সেবনের ফলে রোগগুলো মহামারী আকারে ধারণ করছে। কেন আজ যুবকরা অযথা টাকা খরচ করে তামাকজাত পণ্য কিনে খারাপ নেশায় জড়িত হচ্ছে? যারা এই ধূমপান করে তাদের কাছ থেকে জাতি আজ যৌক্তিক চিন্তা আশা করতে পারছে না। মদ্যপানের ফলে যুবকরা আজ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। যুবসমাজের এই তামাক সেবন ও মদ্যপানের মতো এ খারাপ নেশা থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার মতো ব্যবস্থা সরকারি উদ্যোগে বাস্তবায়ন করতে হবে। সব শ্রেণি- পেশার মানুষকে একসঙ্গে তামাকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সভা-সমাবেশ করে এর প্রতিকারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ধূমপান ও মদ্যপানের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবসা শিথিল করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্তাদের এই নেশা পরিত্যাগ করতে হবে। ধূমপান ও মদ্যপানকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাস করে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। ধূমপান বা অতিরিক্ত তামাক সেবনের কারণেই আজ মানবদেহে এত বড় বড় রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কোনোক্রমেই আজ তামাক সেবন কমানো যাচ্ছে না। যুবক ছেলেরা হরহামেশা সবার সামনে ধূমপান করছে, কেউ প্রতিবাদ করছে না। মদ্যপান করার কারণে কেউ কেউ আবার অশালীন কাজ করছে। তাই তামাক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারলেই দেশের সোনার যুবকদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তামাক সেবনের ক্ষতিকর প্রভাব ও ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাইকে জানাতে হবে, তা না হলে একটি সুস্থ মনের সুস্থ জাতি তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তামাকের অবাধ বা মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তাইফুর রহমান মুন্না
কাছিকাটা, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট

 

নিকোটিন থেকে বাঁচান
৯৫ শতাংশ শিশুর শরীরে নিকোটিন! ভাবুন তো যে পুঁচকেরা নিকোটিন কী তা জানে না, তাদেরই খুদে শরীরে এই বিষাক্ত পদার্থটি জায়গা করে নিয়েছে। পুঁচকেদের কথা বাদই দিলাম, আমরা বড়রাই-বা কজন এগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছি? নিকোটিন হলো এক ধরনের ঘাতক পদার্থ, যা সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে থাকে। কিন্তু অন্য কোনো ধোঁয়ার মধ্যে থাকে না। ধূমপান দু’ভাবে হয়- এক. জ্বলন্ত সিগারেটের ধোঁয়া; দুই. ধূমপায়ীর মুখের ভেতর থেকে নির্গত ধোঁয়া। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত নিকোটিন অ্যান্ড টোব্যাকো রিসার্চ সাময়িকীর প্রতিবেদনে ঢাকার ১২টি স্কুলের ৪৭৯ জন শিশুর লালার মধ্যে ৪৫৩ জনের লালায় এই ঘাতক ব্যাধি পাওয়া যায়। স্কুল পড়ূয়াদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে যারা স্কুলে যায় না তাদের কী করুণ অবস্থা হবে? শিশুদের শরীরে নিকোটিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আমরা যারা ধূমপান করি না তারা মোটেও নিরাপদ নয়। ধূমপায়ী বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কিংবা জনসমক্ষে, রাস্তাঘাটে আমরা প্রতিনিয়ত পরোক্ষ ধূমপানের স্বীকার হই। একজন ধূমপায়ীর সঙ্গে যদি আর একজন অধূমপায়ী এক ঘণ্টা থাকে, তাহলে সে যে পরিমাণ ডাইমিথেন নাইট্রোসামাইন নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করবে, তা ৫০টি সিগারেটের সমান। অধূমপায়ী হয়েও আমরা প্রতিদিন পরোক্ষভাবে ধূমপানের স্বীকার হচ্ছি। মাদক জগতে পা রাখার সোপান হলো ধূমপান। কারণ প্রতিটি মানুষের কৈশোরে অজানাকে জানার আগ্রহ থাকে। তখন তারা প্রকাশ্যে ধূমপান দেখে কৌতূহলী হয়ে ওই নেশাটার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের তরুণদেরই সোচ্চার হতে হবে মাদক কিংবা পরোক্ষ ধূমপানের বিরুদ্ধে। রক্ষা করতে হবে ভবিষ্যৎকে।
হিমু চন্দ্র শীল
শিক্ষার্থী, কক্সবাজার সরকারি কলেজ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন