পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
রাস্তা সংস্কার চাই
জাউয়া বাজার একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তা একেবারেই নাজেহাল। এর মধ্যে বড়কাপন বাজার পয়েন্ট থেকে কপলা বাজার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা! জাউয়া বাজার ইউনিয়নের সঙ্গে আংশিক মানুষের যাতায়াতের প্রধান রাস্তা হচ্ছে এই বড়কাপন ও কপলার মধ্য দিয়ে রাস্তাটি। রাস্তার প্রায় ৯০ শতাংশ খানাখন্দে পূর্ণ। প্রতিদিন ৫-৬ হাজার মানুষ তাদের নিত্যদিনের কাজের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করে। তাছাড়া মুমূর্ষু বা সাধারণ রোগীর জন্যও এই রাস্তা মরণফাঁদ হিসেবে গণ্য। কপলা, সুড়িগাঁও, মোগলগাঁও, কামরাঙ্গী, বাদেশ্বরী, বানাতসহ অন্যান্য গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য অন্য কোনো রাস্তা না থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জাউয়া বাজার থেকে কপলা বাজারের দূরত্ব আগে ছিল সিএনজি বা ইমা, লেগুনাযোগে ৩০ মিনিট; কিন্তু এখন এর দূরত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৬০ মিনিট। তাছাড়া এই রাস্তায় দুর্বিষহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তাটি মেরামত করা হোক।
সাদিক বিন তালিব
জাউয়া বাজার, ছাতক, সুনামগঞ্জ
চড়ূই কি হারিয়ে যাবে
সবার অলক্ষ্যে চলে গেল ‘বিশ্ব চড়ূই দিবস’। দিবসটি পালিত হয় প্রতি বছর ২০ মার্চ। ধীরে ধীরে অবলুপ্তির পথে চলেছে ছোট্ট পাখি চড়ূই। শুধু আমাদের চারপাশেই নয়, সারাবিশ্বেই চড়ূইয়ের কিচিরমিচির শহরাঞ্চলে প্রায় শোনাই যায় না। দশ বছর আগেও ছোট্ট পাখি চড়ূইয়ের কলকাকলি আমাদের ঘুম ভাঙাত। ঘরের দাওয়ায়, ঘুলঘুলিতে, গোবরাটে বা গাছের ডালে এদের দেখা পাওয়া এখন ভাগ্যের ব্যাপার। নগরায়নের বাড়বাড়ন্তের ফলে ছোট্ট পাখিটি আজ অস্তিত্বহীনতার সংকটের মুখোমুখি। পাখি বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কিত যে, শহরাঞ্চলে দ্রুত হারে চড়ূই কমে আসায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। গত কয়েক বছরে শহরাঞ্চলের সর্বত্র বিদ্যমান চড়ূই পাখিদের সংখ্যা ভয়ানকভাবে কমে গেছে। এ হিসাব কোথাও কোথাও ৫০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। পৃথিবীর সর্বত্রই চড়ূই পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত নগরায়নে খাদ্য টান পড়ায় শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে তারা ভিড় করছে। গাছের সংখ্যা কমে আসা এবং মোবাইল টাওয়ার থেকে বিচ্ছুরিত রশ্মি এদের বিলুপ্তির ক্ষেত্রে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণের মতো উদ্যোগ কি চড়ূই পাখির ক্ষেত্রেও নেওয়া যায় না?
মিটন কুমার গুপ্ত
হিলি, দিনাজপুর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।