Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চাকরিতে প্রবেশের বয়স
বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ব্যতিরেকে অন্যদের ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর। এ ৩০ বছর বয়সসীমার কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক যৌক্তিকতা নেই। এ ক্ষেত্রে অনেক যুক্তি দেখানো যাবে, যা পাল্টা যুক্তির অবতারণা করবে। ইদানীং যুব সমাজ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার জন্য দাবি করে আসছে। সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের সীমা বৃদ্ধি তাদের দাবি। অনেকে সর্বোচ্চ সীমা ৩৫ বছর করতে দাবি জানাচ্ছে। সরকার যদি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৪০ বছর নির্ধারণ করে, তাহলে একজন কর্মী ৪০ বছর বয়সে চাকরি শুরু করলে ১৯ বছর চাকরি করে ৫৯ বছর বয়সে অবসরে যাবেন। সরকার শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতাধীন কর্মীদের অবসর বয়স ৬০ বছর নির্ধারণ করেছে। সরকারি বিধিবদ্ধ সেক্টর করপোরেশনের কর্মীদের জন্যও অবসর বয়স ৬০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪০ বছর দায়িত্ব পালনের উৎকৃষ্ট সময়। এ সময়ে একজন মানুষ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়। অনেক সময় যথেষ্ট যোগ্য চাকরি প্রার্থীর বিভিন্ন কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ অতিক্রম করে যায়। যেমন- কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট, প্রথমে বিদেশে গিয়ে ফেরত আসা, বেসরকারি চাকরিতে ঢুকে, পরে সরকারি চাকরি করতে আগ্রহী হওয়া ইত্যাদি। চাকরিতে প্রবেশের সীমা ৩০ বছর হওয়ায় তারা যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও আবেদন করতে পারে না। এসব বিবেচনায় আবেদন করছি, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে সর্বোচ্চ সীমা ৪০ বছরে নির্ধারণ করা হোক।
মো. আশরাফ হোসেন
ঢাকা

পানি সমস্যার সমাধান হোক
গ্রীষ্ফ্মকাল আসতে না আসতেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে পলল্গবী ১১নং সেকশন; সি ব্লকে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাম্পে পর্যাপ্ত পানি উঠছে না। ঢাকা ওয়াসার অদূরদর্শিতা ও ভুল পরিকল্পনার কারণেই আজকের এই পানি সংকট। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই আমাদের সুপেয় পানির উৎস হওয়া উচিত ছিল নদী। কিন্তু সহজলভ্য নদীর পানি ব্যবহারের পরিবর্তে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কী কারণে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা বোধগম্য নয়। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক গভীর নলকূপ বসিয়ে পরিবেশকে বিপন্ন করা হয়েছে। এখন হাজার ফিট গভীরে গিয়েও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তান আমলে সিদ্ধিরগঞ্জ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পল্গ্যান্ট ছাড়া স্বাধীনতার ৪৭ বছরে দেশে আর একটাও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পল্গ্যান্ট স্থাপন করা হয়নি! স¤প্রতি সাভার ও মাওয়ায় দুটি নদীর পানি পরিশোধনাগার নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাভার পানি শোধনাগারের কাজ শেষ হলেও তা এখনও চালু করা হয়নি। পদ্মা নদীর পানি শোধনাগারের কাজ কবে শেষ হবে; তা কেউ বলতে পারে না। পদ্মা ব্রিজের স্প্যান বসাতে গিয়ে জানা গেছে, পদ্মার নিচ দিয়ে অরেকটি পদ্মা বহমান আছে। সেখানে রয়েছে পানির অফুরান মজুদ। তাই এখান থেকে পানি শোধনাগারে নেওয়া যেতে পারে। ঢাকার চারদিকে এত নদনদী থাকতে ঢাকাবাসী পানির কষ্টে ভুগবে- এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই ভয়াবহ লোডশেডিংকবলিত দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করে সরকার যে কৃতিত্ব দেখিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। অনুরূপভাবে নদীর পানি পরিশোধন করে সরকার ঢাকার পানি সমস্যারও সমাধান করবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মো. আলী হায়দার
পল্লবী, ঢাকা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন