পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন যে সাধারণ আফগানদের মৃত্যু ও দেশটির সংকটের জন্য আমেরিকা দায়ী। শুধু রাশিয়াই পারে আফগানিস্তানকে সাহায্য করতে। সপ্তাহান্তে রাশিয়ার এনটিভি’র সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। কারজাই বলেন যে আফগানিস্তান ও এর সন্ত্রাস বিরোধী প্রচেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো সাহায্য করতে পারবে না। কারজাই বলেন, শুধু রাশিয়া পারে আফগানিস্তানকে সাহায্য করতে, যুক্তরাষ্ট্র নয়। মার্কিনীরা গত ১৭ বছর ধরে আফগানদের হত্যা করছে এবং তারাই আফগানিস্তানের সংকটের জন্য দায়ী। সাক্ষাতকারে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ব্রিটিশরাও পারে না। তাদেরকে বহুবার এই দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমেরিকাও পারে না (আফগানদের সাহায্য করতে)। এরা ১৭ বছর ধরে হত্যা করে চলেছে। শুধু রাশিয়া (সাহায্য করতে) পারে। আমরা আফগানরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শেষ বাধা। আমরা দেড়শ বছর ধরে অব্যাহতভাবে লড়াই করে চলেছি। তোমরা (রাশিয়ানরা) যদি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরি করো তাহলে তোমরা সাহায্য করতে পারবে।’ কারজাই আরো বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাজে আফগানিস্তানকে ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা পাকিস্তানে আল-কায়দার সামরিক ঘাঁটি সৃষ্টি করেছে। কারজাই বলেন, ‘আমেরিকানরা যখন বলে যে রাশিয়ান আগ্রাসনের কারণে আল-কায়দা সৃষ্টি হয়েছে তখন তারা মিথ্যা বলে। তারা এই যুদ্ধকে ব্যবহার করেছে পাকিস্তানের সেনা শিবিরে আল-কায়দা সৃষ্টির জন্য। তারা একমাত্র পরাশক্তি হতে চেয়েছিলো এবং তারা তা হয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পেছনে একটি কারণ ছিলো আফগান যুদ্ধ।’ যদিও অনেক সমালোচক কারজাইয়ের এই বক্তব্যকে সঠিক বলে মনে করেন না। তাদের মতে সোভিয়েত ইউনিয়নের হস্তক্ষেপের কারণেই আফগান সংকটের সূচনা হয়েছিলো। তারা আরো বলেন যে কারজাই দেশের স্বার্থে নয়, বরং নিজের স্বার্থে মস্কোর পক্ষে কথা বলছেন। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।