পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
গৃহযুদ্ধ চলতে থাকা সিরিয়ার দৌমাতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার যে অভিযোগ উঠেছে, সে অভিযোগের সত্যতা পায়নি রাশিয়া। অন্যদিকে, সিরিয়ায় চিকিৎসা সেবা দেওয়া সূত্রগুলো বলেছে, শনিবারের হামলায় কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে। ওই হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। দেশ দুটি মন্তব্য করেছে, দরকার হলে তারা যৌথভাবে কঠিন ব্যবস্থা নেবে। ত্রাণকর্মীদের ধারণকৃত এক ভিডিওচিত্রে অনেক লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে যাদের মুখে ফেনা ছিল। ওই ভিডিওচিত্র নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেলে, রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণহীনতা নিয়ে বক্তব্য দিলো। রাশিয়া বলেছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবমাননাকর। রুশ প্রেসিডেন্টের আবাসিক প্রাসাদ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ মন্তব্য করেছেন। তিনি গত সোমবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাশার আসাদ সিরিয়ার বৈধ প্রেসিডেন্ট এবং একটি দেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অশোভন বক্তব্য দেয়া উচিত নয়। সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসীরা দেশটির দৌমায় কথিত রাসায়নিক হামলা চালানোর জন্য দামেস্ককে দায়ী করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কথা বলেন। তিনি আসাদকে ‘পশু’ বলে আখ্যায়িত করেন। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত পূর্ব ঘৌতা এলাকার দুমা শহরে রাসায়নিক হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে সন্ত্রাসীরা। তারা এ হামলার জন্য সিরিয়া সরকারকে দায়ী করে যে বক্তব্য দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো তাকে পুঁজি করে দামেস্কের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। অথচ রাশিয়া গত সোমবার বলেছে, দৌমা শহরে রাসায়নিক হামলা হয়েছে বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাসায়নিক হামলাই যেখানে হয়নি সেখানে অন্ধভাবে সে হামলার জন্য সিরিয়া সরকারকে দায়ী করার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে মস্কো। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ভাষ্য, রুশ বিশেষজ্ঞ ও ত্রাণকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানে তারা রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে মানুষ হত্যা করার কোনও প্রমাণ পায়নি। সিরিয়া আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি বলেছে, দৌমাতে থাকা তাদের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ৫ শতাধিক রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাসায়নিক পদার্থের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির মতো তাদের মধ্যেও শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্ট, নীলচে হয়ে যাওয়া ত্বক, মুখে ফ্যানা ওঠা, চোখের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা গেছে। তাছাড়া তাদের দেহ থেকে ক্লোরিনের মতো গন্ধও পাওয়া যাচ্ছিল। বিবিসি, গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।