Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাসায়নিক হামলার কথা বলা হচ্ছে সিরীয় সেনাদের সাফল্য ম্লান করতে : রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সিরিয়ার পূর্ব ঘৌতার দুমা শহরে রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করেছে দেশটির সরকার। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার বলেছে, উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের ঠেকানোর জন্য রাসায়নিক হামলার প্রয়োজন নেই। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও দুমা শহরে রাসায়নিক বোমা ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রুশ মন্ত্রণালয় বলেছে, দুমা শহর থেকে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জয়শুল ইসলামের বহিষ্কারে সাফল্য ম্লান করার জন্য কয়েকটি পশ্চিমা দেশ এবং হোয়াইট হেলমেটের মতো এনজিও এ অভিযোগ তুলেছে। রাশিয়ার সেন্টার ফর সিরিয়া রিকনসিলিয়েশনের কমান্ডার মেজর জেনারেল ইউরি ইয়েভতুশেংকো বলেন, “আমরা জোরালোভাবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছি এবং দুমা শহরে রাসায়নিক কিংবা জীবাণু অস্ত্রের হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রুশ বিশেষজ্ঞ পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছি। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হবে যে, দুমায় আসলে রাসায়নিক হামলা হয়েছে কিনা।” সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানায় প্রকাশিত খবর অনুসারে, দামেস্ক সরকার বলছে- সিরিয়ার সেনাদের অগ্রাভিযান ব্যাহত করতে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সিরিয়ার সরকার জোর দিয়ে বলেছে, সন্ত্রাসীদের মোকাবেলার জন্য রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োজন নেই। দামেস্ক সরকার আরো বলেছে, এর আগে আলেপ্পো ও পূর্ব গৌতায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছিল কিন্তু সেসব অভিযোগ তাদের লক্ষ্য পূরণে ভূমিকা রাখে নি; তেমনি দুমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগও তাদের কাজে আসবে না; সিরিয়ার সরকার দেশের প্রতি বর্গইঞ্চি ভূখন্ড থেকে সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপরদিকে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী দেশটির ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০-এর মোড়ক উন্মোচন করেছে। রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা দিবসকে সামনে রেখে গত শনিবার এ পদক্ষেপ নেয়া হয় বলে রুশ বার্তা সংস্থা ইজভেস্তিয়া খবর দিয়েছে। এটি জানিয়েছে, ক্রিমিয়ার বন্দরনগরী সেভাস্তোপোলে আগে থেকে মোতায়েন করা দু’টি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ এবং ‘প্যান্টসির-এস১’র মোড়ক গত শনিবার উন্মোচন করা হয়। চলতি বছরের গোড়ার দিকে ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের ইউক্রেন সীমান্তে এস-৪০০ মোতায়েন করা শুরু হয়। রাশিয়ার সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত এস-৪০০ চারদিকের ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের যেকোনো ধরনের বিমান শনাক্ত করে তা ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। সেইসঙ্গে শত্রুপক্ষের নিক্ষিপ্ত যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্রকেও ৬০ কিলোমিটার দূরে থাকতেই ধ্বংস করে দিতে পারে এ ব্যবস্থা। অতি স¤প্রতি রাশিয়া চীনের কাছে এস-৪০০ হস্তান্তর করেছে। এ ছাড়া, ভারত ও তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে এ ব্যবস্থা কেনার চুক্তি করেছে। এ ছাড়া, প্যান্টসির-এস১ হচ্ছে রাশিয়ার আরেকটি মধ্যমপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা ভ্রাম্যমান প্ল্যাটফর্ম থেকে নিক্ষেপ করা সম্ভব। ২০১৪ সালের গোড়ার দিকে ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রে অনুষ্ঠিত এক গণভোটের জের ধরে এটিকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার আগ পর্যন্ত প্রজাতন্ত্রটি ইউক্রেনের অংশ ছিল। রুশ ফেডারেশনে ক্রিমিয়ার অন্তর্ভুক্তির জের ধরে আমেরিকা ও ইউরোপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ ছাড়া, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাশ্চাত্যের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় তা আজো পুরোপুরি দূর হয়নি। ইজভেস্তিয়া,পার্সটুডে, তাস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ