মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সিরিয়ায় দৌমায় রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রাসায়নিক হামলার ঘটনায় সিরিয়ায় হস্তক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। আর রাশিয়া বলেছে, এমন হস্তক্ষেপ হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে। সিরিয়া ইস্যুতে গত সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এমন মুখোমুখি অবস্থান নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি স্ব স্ব দেশের বক্তব্য তুলে ধরেন। এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প সোমবার রাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। সে সময় দুই নেতাই বিষয়টি নিয়ে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বর্বর রাসায়নিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদকে সমর্থনকারীদের দায়ী করেন। দৌমার হামলার জন্য যদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দায়ী হন তাহলে কী হবে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি হতে পারেন, হ্যাঁ, তিনি হতে পারেন। যদি তিনি করে থাকেন, তাহলে এটি খুব কঠিন হতে যাচ্ছে, খুব কঠিন।’ সোমবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পুতিন সম্পর্কে এমন কথা বলেছেন ট্রাম্প। উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বিবিসি দৌমা শহরে ৭০ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে। বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস হামলায় তারা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হোয়াইট হেলমেট। বেশ কয়েকটি চিকিৎসক, পর্যবেক্ষক ও একটিভিস্ট গ্রুপ ওই বিষাক্ত রাসায়নিক হামলার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। পরে রাসায়নিক গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫তে দাঁড়িয়েছে। তবে সিরীয় সরকার ও রাশিয়া দৌমায় কোনও ধরনের রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করেছে। এ হামলার খবরের পর থেকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। গত সোমবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানির সঙ্গে বৈঠকের আগ মুহূর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস বলেন, ‘যেখানে রাশিয়ার মতো দেশ রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূলের বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছে, সেখানে রাসায়নিক হামলা কেন হবে -আমরা সে বিষয়ে নজর দিতে চাই।’ এই হামলার জেরে সিরিয়ায় হামলা চালাবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জেমস ম্যাট্টিস বলেন, আমি ঠিক এ মুহূর্তে কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না।‘ এর কিছুক্ষণ পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ আরও ছয়টি দেশ এই জরুরি বৈঠকের অনুরোধ জানায়। বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ পদক্ষেপ এ ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ না নিলেও ওয়াশিংটন এই হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে’। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সময়ে উপনীত হয়েছি যখন বিশ্বকে অবশ্যই নায়বিচার দেখাতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ইতিহাস এই সময়কে মনে রাখবে কারণ নিরাপত্তা পরিষদ তার দায়িত্বে পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা সিরিয়ার লোকজনকে রক্ষা করতে নিজেদের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা দেখিয়েছে’। রাসায়নিক অস্ত্র বিষয়ক আন্তর্জাতিক নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত মঙ্গলবারের মধ্যেই সিরিয়ায় তদন্তকারী পাঠানোর দাবি জানান নেবেনজিয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী, তেজস্ক্রিয়, জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র বিষয়ক ইউনিটগুলো কথিত রাসায়নিক হামলার ঘটনাস্থলে রয়েছে। তারা জানিয়েছে, রাসায়নিক হামলার মতো কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। আল-জাজিরা, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।