পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
চাকরিতে প্রবেশের বয়স
বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ব্যতিরেকে অন্যদের ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর। এ ৩০ বছর বয়সসীমার কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক যৌক্তিকতা নেই। এ ক্ষেত্রে অনেক যুক্তি দেখানো যাবে, যা পাল্টা যুক্তির অবতারণা করবে। ইদানীং যুব সমাজ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার জন্য দাবি করে আসছে। সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের সীমা বৃদ্ধি তাদের দাবি। অনেকে সর্বোচ্চ সীমা ৩৫ বছর করতে দাবি জানাচ্ছে। সরকার যদি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৪০ বছর নির্ধারণ করে, তাহলে একজন কর্মী ৪০ বছর বয়সে চাকরি শুরু করলে ১৯ বছর চাকরি করে ৫৯ বছর বয়সে অবসরে যাবেন। সরকার শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতাধীন কর্মীদের অবসর বয়স ৬০ বছর নির্ধারণ করেছে। সরকারি বিধিবদ্ধ সেক্টর করপোরেশনের কর্মীদের জন্যও অবসর বয়স ৬০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪০ বছর দায়িত্ব পালনের উৎকৃষ্ট সময়। এ সময়ে একজন মানুষ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়। অনেক সময় যথেষ্ট যোগ্য চাকরি প্রার্থীর বিভিন্ন কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ অতিক্রম করে যায়। যেমন-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট, প্রথমে বিদেশে গিয়ে ফেরত আসা, বেসরকারি চাকরিতে ঢুকে, পরে সরকারি চাকরি করতে আগ্রহী হওয়া ইত্যাদি। চাকরিতে প্রবেশের সীমা ৩০ বছর হওয়ায় তারা যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও আবেদন করতে পারে না। এসব বিবেচনায় আবেদন করছি, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে সর্বোচ্চ সীমা ৪০ বছরে নির্ধারণ করা হোক।
মো. আশরাফ হোসেন
ঢাকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।