Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পানি সমস্যার সমাধান হোক
গ্রীষ্মকাল আসতে না আসতেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে পল্লবী ১১নং সেকশন; সি ব্লকে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাম্পে পর্যাপ্ত পানি উঠছে না। ঢাকা ওয়াসার অদূরদর্শিতা ও ভুল পরিকল্পনার কারণেই আজকের এই পানি সংকট। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই আমাদের সুপেয় পানির উৎস হওয়া উচিত ছিল নদী। কিন্তু সহজলভ্য নদীর পানি ব্যবহারের পরিবর্তে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কী কারণে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা বোধগম্য নয়। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক গভীর নলকূপ বসিয়ে পরিবেশকে বিপন্ন করা হয়েছে। এখন হাজার ফিট গভীরে গিয়েও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তান আমলে সিদ্ধিরগঞ্জ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পল্গ্যান্ট ছাড়া স্বাধীনতার ৪৭ বছরে দেশে আর একটাও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পল্গ্যান্ট স্থাপন করা হয়নি! স¤প্রতি সাভার ও মাওয়ায় দুটি নদীর পানি পরিশোধনাগার নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাভার পানি শোধনাগারের কাজ শেষ হলেও তা এখনও চালু করা হয়নি। পদ্মা নদীর পানি শোধনাগারের কাজ কবে শেষ হবে; তা কেউ বলতে পারে না। পদ্মা ব্রিজের স্প্যান বসাতে গিয়ে জানা গেছে, পদ্মার নিচ দিয়ে অরেকটি পদ্মা বহমান আছে। সেখানে রয়েছে পানির অফুরান মজুদ। তাই এখান থেকে পানি শোধনাগারে নেওয়া যেতে পারে। ঢাকার চারদিকে এত নদনদী থাকতে ঢাকাবাসী পানির কষ্টে ভুগবে- এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই ভয়াবহ লোডশেডিংকবলিত দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করে সরকার যে কৃতিত্ব দেখিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। অনুরূপভাবে নদীর পানি পরিশোধন করে সরকার ঢাকার পানি সমস্যারও সমাধান করবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মো. আলী হায়দার
পল্লবী, ঢাকা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন