নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একসময় হাতি-ঘোড়ায় চড়ে ঢাকার রাস্তায় চলাফেরা করতেন রাজ-রাজারা। সেই রাজারা নেই, তবে কিছু সংখ্যক অভুক্ত ঘোড়া এবং মৃতপ্রায় ঘোড়ার পদচারণা প্রায়সই চোখে পরে ইট-কাঠের এই নগরীতে। তবে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তানে এই দুটি প্রাণির ব্যবহার যাত্রী পরিবহন হলেও নিয়মিত চিত্র হয়ে ধরা দিয়েছে হকির দলবদলে। সামনে একের পর এক সাজোয়া ঘোড়ার গাড়ী, মাঝে দুটি হাতির বহর নিয়ে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে হাজির বর্তমান চ্যাম্পিন ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাব।
হকির দলবদলে গত পাঁচদিনে এমন দৃশ্য ছিল কল্পনাতীত। প্রথম দিনে সমর্থক গোষ্ঠীর একটি ছোট্ট মিছিলে ভর করে দলবদল করেছিলেন আবাহনীর খেলোয়াড়রা। গতকাল হকি স্টেডিয়ামে এসে ১৭ জনকে দলবদল করিয়েছে ক্লাবটি। মেরিনারকে দেখে যেন অতীতের জমজমাট দলবদলে ফিরে গিয়েছিলেন অনেকেই। নতুন অভিজ্ঞতার কথাও জানালেন খেলোয়াড়রা। পুস্কর ক্ষিসা মিমোর কথায়, ‘পাহাড়ী এলাকায় থাকলেও কখনো আমি হাতিতে চড়িনি। কারণ আমাদের এলাকায় বন্য হাতির সংখ্যাই বেশি। প্রথমবারের মতো এবার হাতিতে চড়লাম।’ জানা গেছে দলবদলের জন্য সিরাজগঞ্জ থেকে দু’টি হাতি এনেছে ক্লাবটি।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ঊষা ক্রীড়া চক্রের মতো বড় দল এবার দলবদলে অংশ নিবে না বলে সূত্রে জানা গেছে। যদিও দলবদলের সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। সেক্ষেত্রে মোহামেডান-ঊষার এখনো সুযোগ রয়েছে। তবে সূত্র বলছে ঊষা না নিলেও মোহামেডানের দলবদলে অংশ নেয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। মোহামেডান-ঊষা দলবদলের অংশ না নেয়ার কথায় দলবদল কার্যক্রমে কিছুটা আকর্ষণ হারানোর যে সম্ভাবনা, আকর্ষণ কমে যাওয়া যে আশংকার সৃষ্ট হয়েছিল তাতে পানি ঢেলে দিয়েছে মেরিনার্স। জাকজমকপূর্ণ দলবদল করে বুঝিয়ে দিয়েছে গায়ে বড় দলের ট্যাগ থাকলেই হয় না, বড় শো ডাউনের ইচ্ছাটাও থাকতে হয়।
প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেরিনার্স। দীর্ঘ ২৭ বছর অপেক্ষার পর সর্বশেষ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়। সেবার অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল ছিল না। দু’চারজন সিনিয়রের বাইরে অধিকাংশই ছিল জুনিয়র খেলোয়াড়। কাগজে-কলমেও ছিল চার নম্বর অবস্থানে। কিন্তু কাগজে-কলমের হিসাব পাল্টে দিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে মেরিনার্স। এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। গতকাল যে ১৭ জনকে দলে নিবন্ধন করিয়েছে মেরিনার্স, এদের মধ্যে ১০ জন আবার জাতীয় দলের খেলোয়াড়। বাকি ৭ জনের রয়েছে লিগে খেলার পূর্ব অভিজ্ঞতা।
গত আসরে খেলেছেন এমন ৬ জনকে রেখে নতুন ১১ জনকে বিভিন্ন দলে উড়িয়ে এনেছে মেরিনার্স। মামুনুর রহমান চয়ন গতবার দলের নেতৃত্বে ছিলেন। এবারো তাকে রেখেই দল সাজানো হয়েছে। চয়নের সঙ্গে কৌশিক, সাইফুল আলম শিশির, খন্দকার আকিব জাবেদ, ইমরান হোসেন ইমন এবং হাসিন আরমান রুপ মেরিনার্সে থেকে গেছেন। ঊষা থেকে মিমো, নিলয়, রেজাউল বাবু, নাইম উদ্দিন, মাহাবুব হোসেন, আবাহনী থেকে অসীম, শিটুল এবং আজিজুল ইসলাম, আজাদ স্পোর্টিং থেকে বিপ্লব, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স থেকে সারোয়ার মোর্শেদ শাওন এবং ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব থেকে সফি আহমেদ বাপ্পি এবার মেরিনার্সে যোগ দিয়েছেন।
মেরিনার্সের কোচ হিসেবে এবার দায়িত্ব পালন করবেন জার্মান অলিভার কার্টজ। যিনি জাতীয় দলেরও দায়িত্বে ছিলেন। ১০ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকাতে পা রাখবেন অলিভার- মেরিনার্স ক্লাবের হকি কমিটির চেয়ারম্যান একেএম মুমিনুল হক সাঈদ এমন কথাই জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।