পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
সেতু চাই
বাগেরহাট জেলার সর্ববৃহৎ মোরেলগঞ্জ উপজেলা। বৃহত্তর এই মোরেলগঞ্জ উপজেলার বুক চিরে বয়ে চলছে পানগুচি নদী। এই নদীটি স্রোতস্বিনী ও গভীরতম একটি নদী। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পূর্ণ হওয়া সত্তেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়নি এই নদীতে সেতু। বৃহত্তর মোরেলগঞ্জ উপজেলায় প্রায় তিন লাখ জনতার বসবাস। পানগুচি নদীতে সেতু না থাকার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বৃহত্তর এই উপজেলার জনগণ। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। গত বছরের ২৮ মার্চ পানগুচি নদী পারাপারে ট্রলারডুবিতে প্রাণহানিসহ অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাই জনদুর্ভোগ লাঘবে পানগুচি নদীতে সেতু নির্মাণ করা জরুরি। এ ছাড়া শরণখোলা উপজেলার জনতারও যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই পানগুচি নদী। প্রতিদিন ট্রলারে পানগুচি নদীতে এপার থেকে ওপারে হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। ট্রলারে যাতায়াত করায় অনেকেই শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। তাই এ উপজেলার সব ধরনের মানুষের প্রাণের দাবি পানগুচি নদীতে সেতু নির্মাণ। এর আগে মোরেলগঞ্জ ও ঢাকাতে পানগুচি নদীতে সেতু নির্মাণের দাবিতে বেশ ক›বার মানববন্ধন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুফল মেলেনি। তাই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে জনদুর্ভোগ লাঘবে অচিরেই পানগুচি নদীতে সেতু নির্মাণ হোক।
মো. নিজাম গাজী
মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট
বানিয়াচংয়ে চক্ষু হাসপাতাল চাই
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবে খ্যাত বানিয়াচং উপজেলা। ১৮৬.২৮ বর্গমাইলের এ উপজেলায় প্রায় চার লাখ লোকের বাস। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়ন নিয়ে বিশ্বের এই বৃহত্তম গ্রাম অর্থাৎ উপজেলা সদরের অবস্থান যেখানে প্রায় সোয়া লাখ লোকের বসবাস। চিকিৎসার দিক দিয়ে বরাবরই এ উপজেলার জনসাধারণ অবহেলিত। কৃষিনির্ভর ভাটি অঞ্চল হওয়ায় দারিদ্র্যের হারও বেশি। উপজেলা সদরে সরকারি হাসপাতাল থাকলেও এখানে নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সরঞ্জাম, নেই কোনো চক্ষু বিভাগ। বেসরকারি পর্যায়ে বানিয়াচং উপজেলার ১০ নম্বর সুবিদপুর ইউনিয়নে বিএনএসবি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল সোসাইটি ফর ব্লাইন্ড) চক্ষু হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এদিকে হাসপাতালটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী এবং হবিগঞ্জ সদরের প্রায় কাছাকাছি হওয়ার কারণে পথিমধ্যে না থেমে উন্নত চিকিৎসার আশায় প্রতিদিন অসংখ্য চক্ষু রোগী বানিয়াচং থেকে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বেসরকারি চক্ষ হাসপাতালে গিয়ে ব্যয় বহুল চিকিৎসা করাচ্ছেন, যা অনেকের জন্যই কষ্টকর। এ অবস্থায় বানিয়াচং উপজেলা সদর হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসার জন্য চক্ষু বিভাগ চালু অথবা বিএনএসবি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল সোসাইটি ফর ব্লাইন্ড) চক্ষু হাসপাতালটি বানিয়াচং উপজেলা সদরে স্থানান্তর করলেও জনসাধারণ স্বল্প খরচে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন।
পিয়ানুর আহমেদ হাসান
বানিয়াচং, হবিগঞ্জ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।