Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বানিয়াচংয়ে চক্ষু হাসপাতাল চাই
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবে খ্যাত বানিয়াচং উপজেলা। ১৮৬.২৮ বর্গমাইলের এ উপজেলায় প্রায় চার লাখ লোকের বাস। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়ন নিয়ে বিশ্বের এই বৃহত্তম গ্রাম অর্থাৎ উপজেলা সদরের অবস্থান যেখানে প্রায় সোয়া লাখ লোকের বসবাস। চিকিৎসার দিক দিয়ে বরাবরই এ উপজেলার জনসাধারণ অবহেলিত। কৃষিনির্ভর ভাটি অঞ্চল হওয়ায় দারিদ্র্যের হারও বেশি। উপজেলা সদরে সরকারি হাসপাতাল থাকলেও এখানে নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সরঞ্জাম, নেই কোনো চক্ষু বিভাগ। বেসরকারি পর্যায়ে বানিয়াচং উপজেলার ১০ নম্বর সুবিদপুর ইউনিয়নে বিএনএসবি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল সোসাইটি ফর ব্লাইন্ড) চক্ষু হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এদিকে হাসপাতালটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী এবং হবিগঞ্জ সদরের প্রায় কাছাকাছি হওয়ার কারণে পথিমধ্যে না থেমে উন্নত চিকিৎসার আশায় প্রতিদিন অসংখ্য চক্ষু রোগী বানিয়াচং থেকে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বেসরকারি চক্ষ হাসপাতালে গিয়ে ব্যয় বহুল চিকিৎসা করাচ্ছেন, যা অনেকের জন্যই কষ্টকর। এ অবস্থায় বানিয়াচং উপজেলা সদর হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসার জন্য চক্ষু বিভাগ চালু অথবা বিএনএসবি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল সোসাইটি ফর ব্লাইন্ড) চক্ষু হাসপাতালটি বানিয়াচং উপজেলা সদরে স্থানান্তর করলেও জনসাধারণ স্বল্প খরচে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন।
পিয়ানুর আহমেদ হাসান
বানিয়াচং, হবিগঞ্জ।

শালতা নদী খনন করুন
এক সময়ের আশীর্বাদের শালতা নদী এখন অভিশাপে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খনন না হওয়ায় নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। সাতক্ষীরার তালা ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির কোনো কোনো অংশ নিশানাহীন হয়ে গেছে। দু›পাশে পলি পড়ে প্রায় ৫০০ ফুট চওড়া নদী এখন সরু নালা। পলি পড়ে নদীটি সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি মূল নদীটির গভীরতাও ব্যাপকভাবে কমে গেছে। নদীর কিছু অংশ সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। শালতা নদী এক সময় বহু ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়েছে। নদীতে এক সময় লঞ্চ, স্টিমার চলত। কালের বিবর্তনে নদী দিয়ে এখন মানুষ মোটরসাইকেল ও ভ্যান চালিয়ে পার হয়। ভরাট হওয়া সমতল অংশে গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি ও অবৈধ স্থাপনা। নদীটির নিচু অংশে বাঁধ দিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে চিংড়ি ও মাছের ঘের। নদীটির অধিকাংশ অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরার তালা, খুলনার পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষকে বর্ষার প্রায় ছয় মাস জলাবদ্ধতায় থাকতে হয়। পানির ওপর নির্ভর করে সেচের মাধ্যমে নদীর পাশের হাজার হাজার বিঘা বিল ও জমিতে ফসল ফলানো হতো। কিন্তু এখন পানি সংকটে সেচনির্ভর কৃষিকাজও হুমকির সম্মুখীন। বলতে গেলে নদীতে জোয়ার-ভাটা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। এক সময়ের জীবন-জীবিকা সচল করা নদীটি এখন লাখ লাখ মানুষের জীবনে অভিশাপে পরিণত হয়েছে। মারাত্মক নাব্য সংকটে ভুগছে নদীটি। এখনই নদীটির পরিকল্পিত খনন করা দরকার।
সাধন সরকার,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন