মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এক চুলও জমি ছাড়বে না চীন। দরকার হলে রক্ত দিয়ে হলেও নিজের ভূমি রক্ষা করবো। শত্রুর নাম উল্লেখ না করে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রয়োজনে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধেও রাজি তিনি। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে হুঁশিয়ারি দিয়ে শি জিনপিং বলেছেন, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রস্তুত চীন। জানা যায়, হংকং এবং তাইওয়ানের সঙ্গে প্রথম থেকেই এলাকা নিয়ে বিবাদ রয়েছে চীনের। তাইওয়ান স্বশাসিত দ্বীপ। বেইজিং তাইওয়ানকে নিজের অংশ বলে দাবি করে সেটি দখল করতে মরিয়া। অন্যদিকে হংকং একসময় ব্রিটিশ শাসিত কলোনি ছিল। সেটিও স্বনিয়ন্ত্রিত। কয়েক বছর ধরে হংকংয়ের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করেছে বেইজিং। এদিকে, আবার ভারতের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে বিবাদ রয়েছে চীনের। মাস কয়েক আগেই ডোকলামকে নিজের বলে দাবি করে চীন। সেখানে ভারতীয় সেনার প্রবেশ কিছুতেই বরদাস্ত করতে রাজি নয় বেইজিং। আড়াই মাস চলে সেই সংঘাত। সেই রেশ এখনও রয়ে গেছে। তারই মধ্যে নতুন করে এই হুঁশিয়ারি দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অপরদিকে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ভারতের সঙ্গে সীমান্তসহ গোটা স্থল সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দেশটি তার সীমান্ত প্রতিরক্ষা পুলিশ বাহিনী ‘বিলুপ্ত’ করার সিদ্ধান্তের পর ওই ঘোষণা আসে। চীনের পার্লামেন্ট ‘ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস’ (সিপিসি)-এর অধিবেশন সমাপ্ত হওয়ার একদিন পর গত বুধবার পার্টি ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপকভিত্তিক সংস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। এসব সংস্কারের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কমিউনিস্ট পার্টির প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ জোরদারের অংশ। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনে সিপিসি পররাষ্ট্র নীতি থেকে শুরু করে জাতীয় নিরাপত্তা পর্যন্ত সবকিছুতে তার নিয়ন্ত্রণ আরো জোরদার এবং পার্টি ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্তি কমিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়েছে। এই সংস্কার পরিকল্পনায় বলা হয়ে যে, সীমান্ত পুলিশ থেকে আর্মড পুলিশ ফোর্স এবং সেই সাথে ফায়ার ব্রিগেডের মতো পিপলস আর্মড পুলিশ ফোর্স (পিএপিএফ)-এর অন্যান্য ইউনিটগুলো ভেঙ্গে দেয়া হবে। এই সংস্কারে পররাষ্ট্র নীতির ওপর পার্টির নিয়ন্ত্রণও জোরদার হবে। দলের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কর্তৃপক্ষ সেন্ট্রাল লিডিং গ্রুপকে পূর্ণ কমিশনের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে দলীয় নীতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন তাকে নতুন কমিশনের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। এর প্রধান হবেন শি এবং এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জেইচিসহ পলিটব্যুরোর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।