পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজেদের কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের টাকা দ্রুত ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ছয় হাজার আমানতকারী। গতকাল মতিঝিল সিটি সেন্টারের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এসব দাবি জানানো হয়। ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র আমানতকারীদের কাউন্সিলের এ মানববন্ধনে সহস্রাধীক আমানতকারী অংশ নেন। বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলের কনভেনার ও প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক এবং সেক্রেটারি জেনারেল রানা ঘোষ।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের আকুল আবেদন- আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের বাঁচানাের পথ সুগম করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আপনার একান্ত সাহায্য কামনা করছি। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রীর নেয়া যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত যা আমাদের মতো অসহায় আমানতকারীদের জীবন বাঁচাবে এবং দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
পিপলস লিজিংকে এখনই অবসায়ন না করে এর পুনর্গঠনের মাধ্যমে দ্রুত গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়া অবিলম্বে পিপলস লিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করা হয়। এদিকে মানববন্ধন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা দেখা করেন পিপলস লিজিংয়ের আমানতকারীদের একটি দল। গভর্নর তাদের আমানতের অর্থ দ্রুত ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পিপলস লিজিংয়ে আমানতকারীদের জমা আছে দুই হাজার ৩৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ের আমানত সাড়ে সাতশ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ করা ঋণের বড় অংশই নানা অনিয়মের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া। এসব অর্থ ফেরত আসার তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১৬ কোটি টাকার মতো জমা আছে। আদালতের নির্দেশনার আলোকে বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিএম আসাদুজ্জামান খান পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর পিপলস লিজিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পায়। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ধারাবাহিকভাবে লোকসানে থাকা পিপলস লিজিং ২০১৪ সাল থেকে কোনো লভ্যাংশ দিচ্ছে না বিনিয়াগকারীদের। বর্তমানে শেয়ারবাজারে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন বন্ধ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।