পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নির্ধারিত সময়ে পিপলস লিজিংয়ের সম্পদ ও দায়দেনা সংক্রান্ত নিরীক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে না পারায় গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি এখনো। কবে নাগাদ এই প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং শুরু হলে শেষ হতে কতদিন লাগবে তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। ফলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আমানত বাবদ পিপলস লিজিংয়ের কাছে পাওনা থাকা ২ হাজার কোটি টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, পিপলস লিজিংয়ের গ্রাহকদের আমানতের অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ ও দায়দেনা নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। আর ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর গ্রাহকদের অর্থ আনুপাতিক হারে পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এইজন্য গত সেপ্টেম্বর থেকে একনাবিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস নামক একটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানটি পিপলসের ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চার বছরের আয় ব্যয়, সম্পদ ও দায়দেনা নিরীক্ষা করে গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে একনাবিন নিরীক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। ফলে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে আরো তিন মাস সময় চাইলে আদালত আগামী ২৯ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে। ফলে গ্রাহকদের দায়দেনা পরিশোধ করার প্রক্রিয়া শুরু করতে এই প্রতিবেদন আগে দরকার। তারপর পিপলসের সাধারণ ঋণ ও খেলাপি ঋণ আদায় সাপেক্ষে গ্রাহকদের অর্থ অনুপাতিক হারে পরিশোধ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও পিপলসের অবসায়ক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান বলেন, পিপলস লিজিংয়ের নিরীক্ষা কার্যক্রম গত ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান একনাবিন পিপলসের অডিট শেষ না করতে আরো তিন মাস সময় চেয়েছে। তবে আদালত ৪৫ দিন সময় দিয়েছেন। নতুন সময় আগামী ২৯ ফ্রেব্রæয়ারি শেষ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।