পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আপনারা টাকা তুলে নিয়ে চলে গেছেন। আর যারা পিপলস লিজিংয়ে টাকা জমা রেখেছিল, তারা না খেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পিপলস লিজিংয়ের টাকা জনগণের টাকা, চোর-বাটপারদের টাকা না। আগে টাকা দিন, পরে কথা বলুন। তা না হলে ভেতরে (কারাগারে) ঢুকানো হবে।’ ঋণখেলাপিদের প্রতি হাইকোর্ট এভাবেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। গতকাল (২৫ ফেব্রæয়ারি) হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ ঋণখেলাপি ও তাদের আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় শুনানি করছিলেন আইনজীবী ড. সাঈদা নাসরিন। তার মক্কেল আদালতকে বলেন, তার কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা পাওনা পিপলস লিজিংয়ের।
শুনে আদালত বলেন, আগে টাকা দেবেন, তারপর ইনস্টলমেন্টের আবেদন করবেন। না হলে কারাগারে ঢুকাব। এটা জনগণের জমানো টাকা। পিপলস লিজিংয়ের চোর-বাটপারদের টাকা না।
আদালত বলেন, আমরা দেখছি হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এ কোম্পানিকে বাঁচিয়ে রেখে টাকা উদ্ধার করা যায় কি না। আমানতকারীরা আজকে খেয়ে না খেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। আমরা চেষ্টা করছি ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে ৫ লাখ টাকা এবং তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ১৩৭ জনের গতকাল সশরীরে আদালতে হাজিরা ছিল। এ মামলায় হাজিরার গতকাল ছিল দ্বিতীয় দিন।
অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের দেয়া এ সংক্রান্ত তালিকা দেখে আদালত গত ২১ জানুয়ারি মোট ২৮০ জনকে তলব করেছিলেন। তাদেরকে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হাইকোর্টে উপস্থিত হতে বলা হয়। তারই আলোকে গত ২৩ ফেব্রæয়ারি নির্ধারিত দিনে আদালতে ১৪৩ জনের হাজিরা ছিল। গতকাল বাকিদের হাজিরা ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।