পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সন্ত্রাসীদের হুমকি শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবেশী সিরিয়ায় সামরিক অভিযান বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এ সময়ে তিনি তুরস্ক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন বলে খবর দিয়েছে হুররিয়াত ডেইলি। গত বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ না করার পর্যন্ত সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযান বন্ধ করা হবে না। সবার আগে অভিযান চালানো হবে মানবিজে। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আফরিনে অপারেশেন অলিভ ব্রাঞ্চ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের মুখপাত্রের মন্তব্যের সমালোচনা করেন এরদোগান। তিনি বলেন, সিরীয় কুর্দিশ ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টি (পিওয়াইডি) ও তাদের সশস্ত্র শাখা পিপলস প্রটেকশন ইউনিটসের (ওয়াইপিজি) কাছ থেকে আসা হুমকি থেকে সীমান্ত নিরাপদ রাখতেই এ অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমি সবসময় বলে আসছি, আমরা অভিযান অব্যাহত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যদি কারও বুকের পাটা থাকে, তাদের আমরা মুখোমুখি হতে বলছি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্টের আগে বলেন, আফরিন পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ওয়াইপিজির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধেরও আহ্বান জানিয়ে এরদোগান বলেন, তারা বলেছেন- তারা মানবিজ থেকে সরে যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সেখানে অবস্থান করার কোনো অধিকার নেই। ওখান থেকে তাদের সরে যেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা ১২ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এখানে এসেছে। তারা আসার পর ওয়াইপিজিকে সঙ্গে নিয়ে আসে। অপরদিকে তুরস্কের সেনা সদস্যরা বলেছেন, আফরিনের প্রায় সব অঞ্চল আমাদের নিয়ন্ত্রণে। সরকারি সব স্থাপনায় এখন আমাদের পতাকা উড়ছে। আফরিন এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ। সাধারণ মানুষকে তাদের বাড়ি-ঘরে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহকে ধন্যবাদ আমরা সন্ত্রাসীদের পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছি। আমাদেরকে সমর্থন দেয়ার জন্য আফরিনের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান বলেন- ‘আফরিন আজ আমাদের নিয়ন্ত্রণে। আমাদের সেনাদের অভিযানে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে। কুর্দি সন্ত্রাসীদের নির্মূলের পাশাপাশি আফরিনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে তুর্কি সেনারা কাজ শুরু করেছে। অঞ্চলটিকে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত করতে স্থল মাইন ও বিস্ফোরক সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। আফরিনের সিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় সিরিয়া ও তুরস্কের জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পাশাপাশি বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয় কুর্দিনেতা ব্ল্যাকস্মিথ কাওয়ারের ভাস্কর্য। এরইমধ্যে নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া বাসিন্দারা। আল-জাজিরা,বিবিসি, সিএনএন,ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।