প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গত সপ্তাহে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত হাওয়া সিনেমাটি মুক্তি পায়। সিনেমাটির ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটির জন্য দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তবে সম্প্রতি বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে গিয়ে চঞ্চল চৌধুরী দেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে এমন এক মন্তব্য করেন, যা চলচ্চিত্রাঙ্গণের লোকজন ক্ষুদ্ধ হন। বক্তব্য দিতে গিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘হাওয়া’ পিওর বাংলাদেশের সিনেমা। বাংলাদেশে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ নকল সিনেমা তৈরি হয়েছে। এখনও সেই স্টাইল ফলো করে অনেকে নির্মাণ করছেন। ‘হওয়া’ যারা দেখবেন, আপনারা সত্যি সত্যি যদি সিনেমা বুঝেন, তাহলে বুঝতে পারবেন এটি পিওর বাংলাদেশের সিনেমা। নিজের সিনেমার প্রশংসা করতে গিয়ে পুরো চলচ্চিত্রের সমালোচনা করাকে চলচ্চিত্রাঙ্গণের অনেকে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অনেকেই পোস্ট দিয়ে চঞ্চল চৌধুরীর সমালোচনা করেছেন। তার বক্তব্যর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা সায়মন তারিক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেন, কাউকে ছোট করে বড় হওয়া যায় না। টেলিভিশন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ‘হাওয়া’ সিনেমা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, এতদিন এ দেশে নকল সিনেমা নির্মাণ হতো। নকলের যুগ শেষ। ‘হাওয়া’ স¤পূর্ন নতুন গল্পের সিনেমা। এই রকম সাবজেক্ট নিয়ে এ দেশে আর কোনো সিনেমা নির্মাণ হয়নি। আমি চঞ্চল চৌধুরীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাই। ‘হাওয়া’ নতুন কোনো গল্পের সিনেমা নয়। আশির দশকে নায়করাজ রাজ্জাক ‘অভিযান’ নামে যে সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন ‘হাওয়া’ সিনেমাটি তারই কপি গল্প। ‘অভিযান’ সিনেমাটির পুরোগল্প ছিল ট্রলারে। মৎস্যজীবীদের নিয়ে। তাদের জালেই ধরা পড়ে রোজিনা। রোজিনাকে ঘিরেই গল্প এগিয়ে চলে। ‘হাওয়া’ সেই গল্পের অনুকরণে নির্মিত। আজ নির্মাতা যে ‘হাওয়া’ বানিয়েছেন, তার অনেক আগেই রাজ্জাক সাহেব এমন সিনেমা বানিয়ে দেখিয়েছেন। চঞ্চল চৌধুরীর মতো অভিজ্ঞ অভিনেতার কাছে এমন মন্তব্য আশা করিনি। নিজের অভিনীত সিনেমার প্রচারণা করতে গিয়ে দেশের মুক্তিপ্রাপ্ত সব সিনেমাকে ছোট করে কথা বলা নেহায়েতই হীনমন্যতার প্রকাশ। চলচ্চিত্র নির্মাতা দেওয়ান নাজমুল প্রশ্ন তুলে বলেন, চঞ্চল চৌধুরী কে? এমন প্রশ্ন লক্ষ-কোটি মানুষ বলবে সে নাটকের মানুষ। এটাই তার পরিচয়। হঠাৎ করে সিনেমায় নাম লেখিয়ে ২-৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবুও দর্শক কিন্তু এখনও তাকে নাটকের লোকই বলেন। চঞ্চল চৌধুরী একজন নন্দিত নাটকের নায়ক, পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন অভিনেতা। আপনার কাছে আমরা নন্দিত কথা আশা করব। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনার আগের সিনেমাগুলো কি নকল ছিল? আপনার সিনেমা ছাড়া অন্য কারো সিনেমা কি আপনি দেখেন? দয়া করে আমাদের নায়করাজ রাজ্জাক স্যারের ‘অভিযান’ দেখবেন। তাহলে আপনার কথার সত্যতা খুঁজে পাবেন। নিজেকে বড় করতে গিয়ে চলচ্চিত্রের অন্যকে ছোট না করার অনুরোধ রাখছি। এ দু’জনের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাতা এম. এন ই¯পাহানী, সৈকত নাসির, চিত্রনাট্যকার, আবদুল্লাহ জহির বাবুসহ আরো অনেক নির্মাতা চঞ্চল চৌধুরীর কথার প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।