পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সরকার। গতকাল থেকে প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা শুরু হয়েছে। আগামী ৭ মে থেকে শুরু হবে চাল সংগ্রহ। এ সংগ্রহ অভিযান আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষ হতে ভার্চুয়ালি এ সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মন্ত্রী বলেন, লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান কিনে অবৈধ মজুদ করতে পারবেন না। কে কত টুকু ধান কিনছেন, কোন মিল মালিকের কাছে বিক্রি করছেন তা খাদ্য বিভাগকে জানাতে হবে।খাদ্য কর্মকর্তাদের এসব তথ্য নিয়মিত অধিদপ্তরে প্রেরণ করত হবে। কেউ অবৈধভাবে মজুদ করছে কি না তা কঠোর নজরদারিতে থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, আজ সারাদেশে ধান সংগ্রহ শুরু হলেও চাল সংগ্রহ হবে ৭ মে থেকে। ৭-১৬ মে’র মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে মিল মালিকদের চুক্তিবদ্ধ হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনোক্রমেই চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় বাড়ানো হবে না। তিনি বলেন, সংগ্রহ অভিযান সফল করতে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার। সংগ্রহ মৌসুমের শেষের দিকে তাড়াহুড়ো না করে পরিকল্পনা মোতাবেক সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিকভাবে নির্দেশনা মোতাবেক ধান সংগ্রহের মাধ্যমে মজুত বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। গুদামে ধান দেওয়ার সময় কৃষকগণ যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্যও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি ধান এবং চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো প্রকার আপস করা হবে না বলেও জানান। এসময় ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল বিভাগের বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ হতে জেলার জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক এবং কৃষক প্রতিনিধিগণ অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবুর রহমান, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পরিচালক (সংগ্রহ) মো. রায়হানুল কবীর বক্তব্য রাখেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, মিলারদের কাছ থেকে ৪০টাকা কেজি দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।