রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাতক্ষীরায় বোরো পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আগাছা দমন, সেচ দেয়া, সার প্রয়োগসহ পোকার আক্রমন থেকে রক্ষ্যা পেতে কৃষকরা নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তবে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়াতে কৃষকরা অনেকটা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন।
সাতক্ষীরা খামারবাড়ি সূত্র মতে, এবছর সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বোরোর আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। যা থেকে ধানের উৎপাদন ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৫১৭ মেঃ টন। কলারোয়া উপজেলাতে আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে। সব ঠিক থাকলে ধান উৎপাদন হবে ৪৮ হাজার ৭৮৫ মেঃ টন। তালা উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদিত ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ৭৮ মেঃ টন। আশাশুনিতে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে। যা থেকে উৎপাদিত হবে ২৭ হাজার ৫৪৪ মেঃ টন। শ্যামনগর উপজেলাতে বোরোর আবাদ হয়েছে ০১ হাজার ৩৮৬ হেক্টর জমিতে। যা থেকে উৎপাদিত ধানের পরিমান ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ মেঃটন। দেবহাটা উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৩০ হেক্টর এবং ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ১৮৯ মেঃ টন। কালিগঞ্জ উপজেলাতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে। যা থেকে উৎপাদিত ধানের পরিমান ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৭৯৬ মেঃ টন।
সূত্র মতে, এবছর সাতক্ষীরা জেলাতে ৩ হাজার ৬৯৩ হেক্টর জমিতে বীজ তলা তৈরির লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমিতে। অনেক কৃষক জানিয়েছেন, বীজতলায় ধানের অনেক চারা নষ্ট হয়েছে।
এদিকে, চলতি সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ে সারের দাম কেজি প্রতি এক-থেকে দুই টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কৃষকরা জানান। অন্যদিকে পাইকারী সার ব্যবসায়ীদের দাবী চলতি সপ্তাহে বস্তা প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সরবরাহ কম থাকায় দাম সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলাতে ৭৩ হাজার ৮৬২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৬২৬ মেট্রিক টন ধান।
দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের অব্দুর রহিম ও নূরুল ইসলাম জানান, তারা এবছর দু’বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ধানের বাড়নও ভাল। তারা জানান, বিঘা প্রতি তাদের উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে প্রায় ১৭ হাজার টাকা। এরমধ্যে প্রতি বিঘা বীজতলা তৈরিতে খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমি থেকে তারা ১৮ মন করে ধান পাবেন বলে আশা করছেন।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান জানান, জনবল সংকটের কারণে সকল কৃষকের কাছে পৌছাঁনো সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে জেলায় কৃষি মেলার আয়োজনসহ বিভিন্নভাবে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর সাতক্ষীরাতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।