মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত দু’বছরের তুলনায় আগামী অর্থবর্ষে স্লথ হচ্ছে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি। বাজেটের আগে আর্থিক সমীক্ষায় এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছিল। সেইমতো দেশের জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার আরও বড় আশঙ্কার কথা শোনালেন রিজার্ভ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি কমিটির সদস্য জয়ন্ত আর বর্মা। তার দাবি, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি এই মুহূর্তে এতটাই নড়বড়ে যে আগামী বছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়েও সংশয় আছে।
জয়ন্ত আর বর্মার আশঙ্কা, চলতি বছর ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হার উপরের দিকেই থাকবে। তবে আগামী বছর সেটা অনেকটাই কমবে। অর্থাৎ আগামী বছর মূল্যবৃদ্ধির মার থেকে সামান্য স্বস্তি পেতে পারে দেশবাসী। যদিও সেটাকে বিশেষ ভাল লক্ষণ বলে মনে করছেন না রিজার্ভ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি কমিটির সদস্য। তিনি বলছেন, ইএমআইয়ের চাপে সাধারণ নাগরিকের হাতে টাকার পরিমাণ কমা শুরু করবে। ফলে বাজারে চাহিদা কমবে। সেটাই মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের কারণ হবে।
রিজার্ভ ব্যাংকের নীতি নির্ধারক কমিটির অন্যতম সদস্যের দাবি, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি বেশ ভঙ্গুর। মনে হচ্ছে না যে আমাদের যে পরিমাণ বৃদ্ধি প্রয়োজন সেটা এবার অর্জন করা সম্ভব হবে। তাঁর দাবি, সুদের হার বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির হার, এবং একাধিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধির হার বজায় রাখাটা বেশ কঠিন হবে ভারতের জন্য।
উল্লেখ্য, চলতি বছর রিজার্ভ ব্যাংক ৭ শতাংশ হারে জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু আর্থিক সমীক্ষা বলা হয়েছে, সরকার সেই লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার চলতি বছর হতে পারে ৬.৫ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি বছরও লক্ষ্যপূরণ হয়নি। আগামী বছর রিজার্ভ ব্যাংক এমনিই কমিয়ে ৬.৪ শতাংশ করেছে। সেটাও যদি পূরণ না হয়, তাহলে সেটা ভারতের অর্থনীতির জন্য স্বস্তির খবর হবে না। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।