পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ও ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিদ্যমান রফতানি পণ্যের অতিরিক্ত আরো তিনটি পণ্যকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। এই তিনটি পণ্য হচ্ছে কৃষিজাত খাদ্যপণ্য, ওষুধ ও চামড়া। এই তিনটি পণ্য উৎপাদন, রফতানির উপযোগী করে বাজারজাতকরণ এবং সবশেষে রফতানিযোগ্য করে তুলতে উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা। গতকাল শনিবার ‘রফতানিবাণিজ্য ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক বিশেষ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিশাল বাজারের চাহিদা পূরণ করে আমরা স্বাধীনতার পর থেকে রফতানির প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারছি। আর এতে মূল ভূমিকা পালন করেন ব্যবসায়ীরা। শুরুতে আমরা ২৫টি পণ্য নিয়ে ৬৮ দেশে রফতানি শুরু করলেও এখন ৭৪৪টি পণ্য বাংলাদেশ থেকে রফতানি করছি। তিনি আরো বলেন, রফতানির বাজারে এ মুহূর্তে সাতটি পণ্য বেশি ভূমিকা রাখে বলা হলেও ৮২ শতাংশ তৈরী পোশাক খাত থেকেই আসছে। আমাদের অবশ্যই বাজার বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্যের ধরনে আরো বৈচিত্র্য আনতে হবে। বেসরকারি টেলিভিশন ৭১ টিভির বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সঞ্চালনায় ‘রফতানি বাণিজ্য ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক’ বৈঠকটিতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৈরী পোশাক প্রস্তুতকারক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ রফতানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)-এর সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।