পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রফতানি আয় হয়েছে ৮০৭ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এই আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বাড়লেও তা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
সর্বশেষ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রথম ৩ মাসে রফতানিতে আয় হয়েছে ৮০৭ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। অথচ এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮৯৪ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে দেখা যায় আলোচ্য সময়ে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রফতানি আয় কমেছে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময় আয় হয় ৭৭৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। যা আলোচ্য সময়ের তুলনায় তুলনায় ৪ দশমিক ১২ শতাংশ কম। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে।
বিগত তিন মাসের হিসেবে প্রায় সব পণ্যই রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে রফতানির আয়ের সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাকেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ফলে সামগ্রিক রফতানিতে এর প্রভাব পড়েছে। আর রফতানির এ নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, তৈরি পোশাক রফতানি আয় সন্তোষজনক নয়। প্রথম তিন মাসের কোনো মাসেই উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি নেই এ খাতে। নিট ও ওভেন খাতে ৭৩৪ কোটি ৫১ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
তৈরি পোশাকের নিট খাতে রফতানি আয় হয়েছে ৩৪০ কোটি ডলার। একই সঙ্গে ওভেন খাতে রফতানি আয় হয়েছে ৩২৬ কোটি ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম। ভাটা চলছে পাট ও পাটপণ্য খাতেও। অন্যতম বড় এ রফতানি খাতে ৩ মাসের আয় ২০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ২৬ শতাংশ কম। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। একই সঙ্গে পাট খাতে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রফতানি কমেছে দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ সময় কাঁচাপাট রফতানি হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের এবং সুতা রফতানির আয় ১১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক ও পাটের পাশাপাশি ফুল, রাবার, পেট্রোলিয়াম উপজাত, সিল্ক, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য, জাহাজ, আসবাব, কম্পিউটার সেবাসহ বেশিরভাগই রয়েছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া পণ্যের তালিকায়। তবে এ সময় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হওয়া পণ্যের তালিকায় রয়েছেÑ চামড়া, চিংড়ি, হস্তশিল্প পণ্য, ওষুধ, কসমেটিক ও গলফ স্যাফট ইত্যাদি।
ইপিবির হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে ২৩৭ কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কম। সেপ্টেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। একই সঙ্গে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সেপ্টেম্বরে আয় কমেছে ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।