পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
গণপরিবহনে অনিয়ম দূর করুন
আমাদের দেশের মানুষের যাতায়াতের বড় মাধ্যম হলো বিভিন্ন গণপরিবহন। এসব পরিবহনের মধ্যে বাস, সিএনজি, অটোরিকশা অন্যতম। পরিতাপের বিষয়, গণপরিবহনে প্রায়ই ভাড়া নিয়ে চলে নৈরাজ্য ও অনিয়ম। যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। যদিও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, কোনো অনিয়ম চলে না। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং ফুটপাতের অবৈধ দখল যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশিল্গষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো. মানিক উল্লাহ
মাজগ্রাম, এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ।
মাতৃভাষায় ভাব প্রকাশ হোক
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা বাঙালিরা একটু নড়েচড়ে বসে নানাভাবে ভাষা নিয়ে গভীর মমত্ববোধ, উচ্ছ্বাস, ভালোবাসা প্রকাশ করতে থাকি। যদিও সংবিধানে নিজেদের ‹বাঙালি› বলে পরিচিত হওয়ার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি রয়েছে, তার পরও চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মুরং, খুমি, গারো, হাজং, মণিপুরি, খাসিয়া, সাঁওতাল, ওঁরাও, রাখাইন ইত্যাদি নামের অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্য নিজেদের আদিবাসী বলতেই গর্ব বোধ করে। অন্য ভাষাভাষীর এসব জনগোষ্ঠীর লোকেরা কি বাঙালিদের মতো বাংলাপ্রীতি উন্মাদনায় মত্ত হতে পারে? উৎসবের মাস যেন ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমিতে অমর একুশে বইমেলা তো আছেই, রয়েছে নানান দিবসও। যার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তবে মাতৃভাষা বলে কিন্তু বাংলা ছাড়াও তো এখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নিজস্ব ভাষা রয়েছে। সেগুলোর কথা ভাবা দরকার। সেগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কবে নাগাদ আমাদের ভাষাগুলো সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নেবে? মাসব্যাপী বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন চলে আলোচনা সভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে বরেণ্য কবি-সাহিত্যিক, আলোচক বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। একদিন এই মঞ্চে যদি বাংলাদেশের সব আদিবাসীর কবি-সাহিত্যিক-লেখক-বুদ্ধিজীবীকে ডেকে অনুষ্ঠান করা যেত, দেশের ভাবমূর্তি কি বিবর্ণ হতো? গত বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ঘোষণামঞ্চে প্রথমবারের মতো আদিবাসী কবি-আবৃত্তিকারদের অংশগ্রহণে তাদের মাতৃভাষার কবিতা পাঠ করানো হলো বঙ্গানুবাদসহ। এ রকম আরও উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
স্বপন এককা
আদিবাসী সংগঠক।
ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল পরিবহন বন্ধ করুন
যখন কোনো ভ্যানে ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে, তখন একটি ভ্যানে সাতজন পর্যন্ত উঠানো হয়। চালকের সামান্য ভুলে ঘটে যেতে পারে অনেক বড় দুর্ঘটনা। এই স্কুলভ্যানগুলো কীভাবে অনুমোদন পাচ্ছে বা কারা চালানোর জন্য অনুমতি দিচ্ছে, তা দেখা দরকার। অনেক স্কুলেরই গাড়ি ভাঙা, রঙ ওঠা এবং ফিটনেসবিহীন। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের বাইরে এই ঘটনাগুলো ঘটছে প্রতিনিয়ত। সড়ক দুর্ঘটনা এমনিতেই কমানো যাচ্ছে না। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যাটারিচালিত সব স্কুল পরিবহন ভ্যান বন্ধ হোক।
সাঈদ চৌধুরী
গাজীপুর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।