২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
নীরব ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সার। প্রতিবছর ক্যন্সারে অনেক মানুষ মারা যায় । ক্যন্সার মানুষের কাছে এক আতংকের নাম । এক সময় প্রবাদ ছিলো ক্যান্সার হলে আর রক্ষা নেই। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় বিজ্ঞানীরা এখন অনেক ক্যান্সার জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিরা বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করলে এবং কিছু ওষুধপত্র গ্রহণ করলে দীর্ঘ দিন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। এছাড়া স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন, যথাযথ খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ, ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিত্যাগ করার মাধ্যমে ক্যান্সারের হাত থেকে অনেক ক্ষেত্রে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার যেমন খাদ্য তালিকায় প্রচুর শাক সবজি, ফল স্থান দেয়া উচিত । কিন্তু বর্তমানে অনেকেই ফাস্ট ফুড গ্রহণ করছেন এবং শারীরিক পরিশ্রম করছেন না। ফলে ওজন বেড়ে যাচ্ছে। হচ্ছে বিভিন্ন ক্যন্সার ।
ফল খেতে বর্তমানে অনেকেই ভয় পান । কারণ ফলে ভেজাল দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হছে। এসব পদার্থ থেকেও ক্যন্সার হুতে পারে। যেসব ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় তা হচ্ছে, জরায়ুর ক্যান্সার , খাদ্যনালীর ক্যান্সার , মুখ, গলা ও স্বরযন্ত্রের ক্যান্সার , পাকস্থলির ক্যান্সার , কোলন ক্যান্সার , প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার , স্তন ক্যান্সার , ফুসফুসের ক্যান্সার , কিডনির ক্যান্সার ও গলবøাডারের ক্যান্সার । তবে ক্যন্সার প্রতিরোধ করা বাস্তবে ততটা সহজ নয়। কারণ ক্যন্সারের কারণ বহুবিধ । আবার ক্যন্সারের সব কারণ আজও আবিষ্কার করা যায়নি । তাই ক্যন্সারের যেসব কারণ জানা গেছে সেসব থেকে দূরে থাকতেই হবে। গবেষণায় দেখা গেছে ধূমপান থেকে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশী। অথচ ধূমপানের বিপদ সম্পর্কে জানা সত্বেও অনেকে এ অপ্রয়োজনীয় বদ অভ্যাসটি ছাড়তে পারেন না। অনেক তরুণরাও বর্তমানে ধূমপান করছে। ফুসফুসের ক্যন্সারের হাত থেকে বাঁচতে ধূমপান ছাড়তেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিরাও ধুমপান করে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনছেন ।
গবেষকদের মতে সময় মত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার সনাক্ত হলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ক্যান্সারের চিকিৎ্সা ও আরোগ্য সম্ভব। তাতে অনেক জটিলতা কমে যায় । দীর্ঘজীবন লাভ করা সম্ভব হয়। এজন্য সমস্যা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎ্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত। দীর্ঘ মেয়াদী কাশি, দীর্ঘ মেয়াদী জ্বর, শরীরের ক্রমান্বয়ে ওজন হ্রাস, লিভার, কিডনি, মুত্রাশয়, ফুসফুসের দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎ্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এতে একদিকে যেমন দু:শ্চিন্তা মুক্ত থাকা যায় তেমনি অনেক জটিলতা এড়ানো যায় । সকল বদভ্যাস থেকে দূরে থাকতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। ক্যন্সার নিয়ে সবার সচেতনতা দরকার। তাহলে ক্যন্সারের প্রকোপ অনেক কমে যাবে।
-ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।