Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চি ঠি প ত্র

| প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই
সঠিক ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। নীতিগত দিক দিয়ে বিবেচনা করলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো আইন দেশে নেই। রাজধানী ঢাকাসহ পৌর শহরগুলোর মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের হাজার হাজার টন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শিল্পকারখানার বর্জ্য, ইলেকট্রনিক বর্জ্য, চিকিৎসা বর্জ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য, পয়ঃবর্জ্য প্রভৃতি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকে এখনই নজর না দিলে এবং সচেতন না হলে এমন একসময় আসবে, যখন প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন হুমকিতে পড়বে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে নগরের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িত। শহর এলাকার জনসংখ্যা যেমন বেশি, তেমনি বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যরে উৎপাদনও বেশি। সিটি করপোরেশন এলাকার জৈব বর্জ্যকে বায়োগ্যাস ও জৈব সারে রূপান্তর করতে পারলে তা দিয়ে জ্বালানির জোগানসহ জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব। সীমিত সম্পদের এ দেশে একই জিনিস সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বারবার ব্যবহার কিংবা ব্যবহৃত জিনিস ফেলে না দিয়ে তা থেকে নতুন জিনিস তৈরি করা যেতে পারে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ করে নিদিষ্ট ভাগাড়ে রাখা হয়। তারপর সেগুলো পরিশোধন বা রিসাইক্লিং করে অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করা হয়। তাই স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য পরিবেশের কথা চিন্তা করে হলেও আজ কিংবা কাল টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতেই হবে। ফলে সম্পদের পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে যেমন লাভবান হওয়া যাবে, তেমনি পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিও রোধ করা সম্ভব হবে।
সাধন সরকার
শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।




প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হোক
জ্ঞানার্জন তথা অধ্যবসায় এক ধরনের সাধনা তথা আরাধনার শামিল। জ্ঞানার্জনের পথ মসৃণ নয়, অর্জন করতে হলে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। পড়ালেখা করে একজন আলোকিত মানুষ হতে হলে নিজেকে এর বেদিমূলে উৎসর্গ করতে হয়। বিদ্যার্জনের জন্য কোনো শর্টকাট বা বাঁকা পথ নেই। জ্ঞানের পরিমন্ডল ব্যাপক ও বিশাল। আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে হিড়িক, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও পরিতাপের বিষয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুষলে হবে না। আমরা যদি নিজেদের শোধরানোর চেষ্টা না করি, তাহলে বিষয়টি একটি সংক্রমিত রোগ হিসেবে পরিণত হবে। কোনো অভিভাবকই আশা করে না, তার সন্তান লেখাপড়া না করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করুক। ভবিষ্যতে যে শিক্ষা আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপে পরিণত হবে। দুর্নীতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ পরীক্ষা আত্মহনন, আত্মপ্রতারণা বা আত্মবঞ্চনার শামিল।
অতএব, শুরু থেকেই যদি আমরা বিষবৃক্ষের বীজ উৎপাটন না করি, তাহলে এর খেসারত আমাদেরই বহন করতে হবে। জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে যাব, অজ্ঞানতা বা কূপমন্ডয়কতার সাগরে আমরা ভাসতে ভাসতে তলিয়ে যাব।
 সৈয়দ নাইমুল হাসান টুবলু
চাখার, বানারীপাড়া, বরিশাল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন