Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পাসপোর্টের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনুন
চাকরি, ব্যবসা, ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষা বা নানা কারণে এক দেশ থেকে অন্যদেশে যেতে হলে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হচ্ছে পাসপোর্ট। আজ দেশের বাইরে বিমানবন্দরে বাংলাদেশীদের অস্বস্তির অন্যতম প্রধান কারণ এই সবুজ পাসপোর্ট। বাংলাদেশের পাসপোর্ট, বাংলাদেশের ঠিকানা বিশ্বের অনেক দেশে কেমন অস্বস্তি, অমর্যাদা ও কষ্টের- তা ভুক্তভোগী মাত্রই অবগত। এক সময় যে দেশগুলো পোর্ট এন্ট্রি ভিসা দিত- সেই দেশগুলো এখন বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট দেখলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, বাঁকা চোখে তাকায়। বাংলাদেশির মর্যাদাহানি বিদেশে দিন দিন প্রকট হচ্ছে, একই ফ্লাইটের অন্য দেশের যাত্রীরা ১০ মিনিটে এয়ারপোর্ট ছাড়তে পারলেও বাংলাদেশীদের লাগছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কাউন্টারে রেখে দেয়া হচ্ছে। কয়েক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে বেশির ভাগ বাংলাদেশির আলাদা ইন্টারভিউ নিচ্ছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এই ইন্টারভিউগুলো কোনো অপরাধীকে জিজ্ঞাসাবাদের আদল পাচ্ছে। বিশ্বের অনেক এয়ারপোর্টে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখানো মাত্র দুর্ব্যবহার শুরু হয়। পড়তে হয় পাসপোর্ট জটিলতা ও বিড়ম্বনায়। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ভ্রূকুটি, তদন্ত ও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
ভিনদেশের ইমিগ্রেশনের লাইনে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের অধিক সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, যা খুবই বিরক্তিকর। অন্য সব দেশের নাগরিকরা এক লাইনে থেকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে পারলেও বাংলাদেশিদের নিয়ে যাওয়া হয় আলাদা লাইনে। এদেশের নাগরিকদের জন্য এখন ভিসা না পাওয়া নিত্যদিনের ঘটনা।
প্রতিদিন হাজার হাজার বাংলাদেশির ভিসা আবেদন নাকচ হচ্ছে। এমনকি ভারত, নেপালও এ কাজ করছে। এটি একটি নির্মম পরিহাস। যত দিন যাচ্ছে, অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। অথচ একজন বাংলাদেশির কাছে পাসপোর্টের মূল্য অনেক। কারণ এটি অনেক কষ্টে অর্জিত এক সম্পদ। স¤প্রতি হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের করা এক সূচকে ১৯৯টি দেশ জায়গা পেয়েছে। হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের এ বছরের তথ্য অনুসারে, ওই ১৯৯ দেশের মধ্যে মাত্র ১০টি দেশ আছে, যাদের পাসপোর্ট অন অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাসপোর্টের তুলনায় কম শক্তিশালী। আর ১৮৫টি দেশের পাসপোর্ট এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চাইতে বেশি শক্তিশালী। হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের তথ্য বলছে, ২০০৮ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত এই সূচকে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান নেমেছে ২৩ ধাপ। এ বছর ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের ভিত্তিতে যে র‌্যাংকিং করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ৯৬তম অবস্থানে আছে। এই অধিকার দেশে ও বিদেশে নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়ে সরকারকে কৃতিত্ব দেখাতে হবে। কৃতিত্ব কেবল পোস্টার, ব্যানার আর বক্তব্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।
মুনযির আকলাম, ব্যবসায়ী, কোরপাই, বুড়িচং, কুমিল্লা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন