পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আফগানিস্তানের শান্তি ও সমঝোতা প্রচেষ্টার ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন সউদী প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। আফগানিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার (এনএসএ) মোহাম্মদ হানিফ আতমার গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আতমারের সাথে বৈঠকে সউদী ক্রাউন প্রিন্স আফগান শান্তি প্রক্রিয়া সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে এর সাথে জড়িত সব পক্ষের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন।
হাই পিস কাউন্সিলের (এইচপিসি) কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, শান্তির জন্য সা¤প্রতিক প্রচেষ্টা আফগানিস্তানকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে।
আতমারের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপরও জোর দেন সউদী প্রিন্স।
এনএসসি মুখপাত্র কাদের শাহ বলেন, “ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছেন এবং এতে জড়িত সব পক্ষকে পুরোপুরি সমর্থন দেয়ার আহŸান জানিয়েছেন।”
চলতি মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় কাবুল প্রসেস শান্তি সম্মেলনের আগ মুহূর্তে এ কথা বললেন সউদী প্রিন্স। এই সম্মেলনে শান্তির বিষয়ে ভবিষ্যৎ নীতি গ্রহণ করবে আফগান সরকার।
প্রেসিডেন্ট ঘানির মুখপাত্র শাহহুসাইন মুরতাজাওয়ি বলেন, “এর আগে কাবুল প্রসেস সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, শান্তি আলোচনা আফগানিস্তানের অধীনেই হতে হবে। তবে এ ব্যাপারে যারা সহযোগিতা করতে আগ্রহী, তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাই।”
এইচপিসি মুখপাত্র এহসানুল্লাহ তাহিরী বলেন, “এরপর আঞ্চলিক ও অতি-আঞ্চলিক দেশগুলো জোটবদ্ধ হয়ে আফগান-নেতৃত্বাধীন শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে কৌশলগত সহযোগিতা দেবে। অতীতে আমাদের এই ধরনের সুবিধা ছিল না।” সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।