Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কারো মন রক্ষার্থে আর অভিনয় করবো না -এ টি এম শামসুজ্জামান

| প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিনোদন রিপোর্ট: একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন। বার্ধক্যজনিত শারীরিক সমস্যা থাকলেও, অভিনয়ের প্রতি রয়েছে তার অদম্য আকাক্সক্ষা। মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত অভিনয় করে যেতে চান। তিনি বলেন, অভিনয় বয়সের ধার ধারে না। আসলে আমার শরীরের চেয়েও বেশি খারাপ এখনকার নাটক-সিনেমার গল্প। তাই অভিনয়ে অনিয়মিত। শরীর খারাপ বলে কাজ করছি না ব্যাপারটি তা নয়। আমার সঙ্গে যায় এমন চরিত্র পেলেই অভিনয় করছি। আমি কাজ করে আনন্দ পাই। তিনি বলেন, স্ক্রিপ্ট ভালো লাগলে অভিনয় করবো। ভালো না লাগলে কারো মন রক্ষার্থে আর করবো না। তাদের নাটক-সিনেমাতেই অভিনয় করবো যাদের গল্প ভালো লাগবে এবং নির্মাতা হিসেবে যারা ভালো ও কমিটমেন্ট আছে। তিনি জানান, বর্তমানে দুটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। একটি সাজ্জাদ সুমনের ছলে বলে কৌশলে ও অন্যটি রুলিন রহমানের ভালোবাসা কারে কয়। তিনি বলেন, ৫৪ বছর ধরে অভিনয় করছি। এখন যে নাটকগুলো করছি সেগুলো বেশির ভাগই নাটক নয়। তবে ভালো নাটক যে হচ্ছে না, তাও নয়। সংখ্যায় খুব কম। যেগুলো মন্দের ভালো সেগুলোতে অভিনয় করছি। বর্তামানে যে দুটো নাটকে অভিনয় করছি দুটোর গল্পই ভালো, নির্মাতাও ভালো। নোয়াশাল নামের একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলাম, ছেড়ে দিয়েছি। ওটার আর ধারাবাহিকতা নেই, গল্পেরও জোর বলে কিছু নেই। বিরক্তি লেগে গেল তাই ছেড়ে দিলাম। এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিল আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে। তারপর জগন্নাথ কলেজ ভর্তি হন। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর খান আতাউর রহমান, কাজী জহির, সুভাষ দত্তদের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেন নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত জলছবি সিনেমায়। এ সিনেমার মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। অভিনেতা হিসেবে এ টি এম শামসুজ্জামানের আগমন ঘটে ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত দায়ী কে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ২০০৯ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটিকে নিয়ে এবাদত নামে একটি সিনেমা পরিচালনা করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিনয়


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ