Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত মাশরাফি

| প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : মিরপুরে বাংলাদেশ টেস্ট দল যখন শ্রীলঙ্কার কাছে নাকানিচুবানি খাচ্ছে তখন সাভারে ব্যাটে বলে ঝড় তুলছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথমে ব্যাট হাতে ঝড়ো ফিফটি করে বিপর্যস্থ দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি, পরে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে দলকে জেতান ৩৬ রানে। তার মানে আবাহনীর টানা দ্বিতীয় জয়েও নায়কের ভুমিকায় মাশরাফি।
প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। কিন্তু এদিন কলাবাগান ক্রিড়া চক্রের বিপক্ষে বলের আগে ব্যাট হাতে কিছু করতেই হত ম্যাশকে। ১০৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দল বিপর্যস্থ। এমন সময় মাঠে নেমে টেস্ট দল থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়া মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। মোসাদ্দেকের (৪০) দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে সেই জুটি বিচ্ছিন্ন হয়। পরের বলেই ভারতীয় রিক্রুট যতিন সাক্সেনার বলে হাঁকাতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে যান মাশরাফি। কিন্তু ততক্ষণে দল পেয়ে গেছে লড়াই করার মত পুুঁজি। ২০৩ রানে তার ফেরার পর এক বল বাকি থাকতে ২১৭ রানে অল আউট হয় আবাহনী। ৪৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর ৫৪ বলে ৫টি ছক্কা ও ৩টি চারে মাশরাফি করেন ৬৭ রান।
জবাবে ৩০ রানের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়ে কলাবাগানের শুরুর ধাক্কাটাও আসে মাশরাফির কাছ থেকে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাতীয় দরের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। দুজনে তুলে নেন ৭ উইকেট। শেষ দুই উইকেট তুলে নিয়ে কলাবাগানকে ১৮১ রানে গুটিয়ে দেন নড়াইল এক্সপ্রেস। দুই ম্যাচে শতভাগ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আবাহনী।
বিকেএসপির পাশের মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্সও জয় পেয়েছে ২০ রানের। উইকেটকিপার জাকির আলী অনিকের ৯০ ও ভারতীয় খেলোয়াড় রজত ভাটিয়ার ৩৪ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের উপর ভর করে ৬ উইকেটে ২৭৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে গাজী। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতে ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় শাইনপুকুর। অথচ ৩৮তম ওভারেও ২ উইকেটে ১৯৭ রান নিয়ে জয়ের পথেই ছিল তারা। শীর্ষ চার ব্যাটসম্যানের তিনজনই খেলেন পঞ্চাশোর্ধো রানের ইনিংস। ওপেনার সাদমানও করেন ৪০ রান। কিন্তু এরপরই একযোগে জ্বলে ওঠে গাজীর বোলিং লাইনআপ। রুবেল আহমেদ ও নাঈম ইসলাম নেন ৩টি করে উইকেট, আবু হায়দার ২টি।
তবে ফতুল্লার ম্যাচে ছিল টান টান উত্তেজনা। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির ছুড়ে দেওয়া ২০০ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে খেলতে হয়েছে পুরো ৫০ ওভার, উইকেট হারাতে হয়েছে ৯টি! ২ উইকেটে ১৩৫ রানের পরও মিডিল অর্ডারদের ব্যর্থতায় লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয় প্রাইম দোলেশ্বরকে। খেলাঘরকে দুইশর মধ্যে বাধতে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখেন ফরহাদ রেজা। ৩৭ রানে ৪ উইকেট নেন এই পেসার অল-রাউন্ডার।

আবাহনী-কলাবাগান, বিকেএসপি ৩
আবাহনী : ৪৯.৫ ওভারে ২১৭ (শান্ত ৫৫, মোসাদ্দেক ৪০, মাশরাফি ৬৭; শাহাদাত ২/৪৭, আবুল হাসান ২/২৬, যতিন ২/১৩, ৩/৪৭)। কলাবাগান : ৪৮.১ ওভারে ১৮১ (মুক্তার ৪০, মাহমুদুল ৩৮, তাইবুর ২৬; মাশরাফি ৪/৪৯, তাসকিন ৩/৩০, মোসাদ্দেক ১/২০)। ফল : আবাহনী ৩৬ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : মাশরাফি বি মর্তুজা (আবাহনী)।
গাজী গ্রæপ-শাইনপুকুর, বিকেএসপি ৪
গাজী গ্রæপ : ৫০ ওভারে ২৭৯/৬ (জাকির ৯০, ভাটিয়া ৫৮*, জহুরুল ২৮; সাইফউদ্দিন ২/৬৮, শুভাগত ১/৫, আফিফ ১/৩৮)। শাইনপুকুর : ৪৮.৪ ওভারে ২৫৯ (সাব্বির ৫৫, হৃদয় ৫১, কাউল ৫৯; হায়দার ২/৩৭, রুবেল আহমেদ ৩/৬৩, নাঈম ৩/৩৬)। ফল : গাজী গ্রæপ ২০ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : জাকির আলী অনিক (গাজী গ্রæপ)।
খেলাঘর-প্রাইম ব্যাংক, ফতুল্লা
খেলাঘর : ৫০ ওভারে ১৯৯/৭ (রবি ৩৫, নাজিমুদ্দিন ৫১, মেনারিয়া ৪৫; ফরহাদ রেজা ৪/৩৭, শরিফুল্লাহ ১/৩৫, মোহাম্মাদ আরাফাত ১/৩৫)। প্রাইম ব্যাংক : ৫০ ওভারে ২০০/৯ (ফজল ৪২, ফরহাদ হোসেন ৪৫, মার্শাল আয়ুব ৩১; সাদমান ২/২৮, তানভির ৩/৪৮, মেনারিয়া ২/৩৬)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ১ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ফরহাদ রেজা (প্রাইম ব্যাংক)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাশরাফি

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ