Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওয়াখান করিডোরে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলতে চায় চীন

ওই অঞ্চলে চীন ও আফগান সেনারা যৌথভাবে টহল দেয়া শুরু করেছে

প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:১১ এএম, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তানের জঙ্গিরা চীনে অনুপ্রবেশ করতে পারে এই আশঙ্কায় আফগানিস্তানে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলতে কাবুলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে চীন। আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত ও পাহাড়ি অঞ্চলে এ সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে চীন। খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের পাহাড়ি প্রত্যন্ত অঞ্চল ওয়াখান করিডোরে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলতে আগ্রহী চীন। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে ওই অঞ্চলে চীন ও আফগান সেনারা যৌথভাবে টহলও দেওয়া শুরু করেছে। চীনের জিনজিয়াং সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত এই অঞ্চলটি আফগানিস্তানের মূল ভূখÐ থেকে বেশ বিচ্ছিন্ন। সে কারণে চলমান সংঘাত কিংবা যেকোনো সংঘর্ষ এখানে তেমন প্রভাব পড়ে না। খবরে আরও বলা হয়েছে, চীনের সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলার এই পরিকল্পনার সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারেরই একটি অংশ। কারণ দক্ষিণ এশিয়ায় চীন অবকাঠামো খাতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। তবে আফগানিস্তানের অস্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে চীনের আশঙ্কা, পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক আন্দোলনের নির্বাসিত উইঘুর স¤প্রদায়ের সদস্যরা আফগানিস্তানের ওয়াখান অঞ্চল ব্যবহার করে জিনজিয়াং প্রদেশে হামলা চালাচ্ছে। এছাড়া ইরাক ও সিরিয়া থেকে পলাতক আইএস সদস্যরা মধ্য এশিয়া ও জিনজিয়াং পৌঁছানোর জন্য আফগানিস্তান বা ওয়াখান অঞ্চল ব্যবহার করতে পারে। এমনকি তারা চীনেও প্রবেশ করতে পারে। আর তার জন্যই তারা এ পদক্ষেপ নিতে চায়। এ উপলক্ষে গত বছর ডিসেম্বরে বেইজিংয়ে আফগান ও চীনা কর্মকর্তারা সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বিস্তার আলোচনা করেছেন। তবে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র মোহাম্মদ রাদমানেশ জানিয়েছেন, এখনও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই নির্দিষ্ট হয়নি। আমরা সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করতে যাচ্ছি। চীনা সরকার কেবল আর্থিকভাবে সহযোগিতার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা আফগান সেনাদের সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ দেবে। অন্যদিকে কাবুলের চীনা দূতাবাসের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে সক্ষমতা ও স্বনির্ভরতা বাড়াতেই কেবল বেইজিং দেশটিকে সাহায্য করবে। এ বিষয়ে আফগানিস্তানে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো মিশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। ডন, প্রেস টিভি,এএফপি।



 

Show all comments
  • তুষার ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:৪৬ এএম says : 0
    চীন আস্তে আস্তে প্রভাব বিস্তার করা শুরু করতেছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ