Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রক্তাক্ত কাবুলে লাশ আর লাশ

আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় স্বীকার তালেবানের

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিস্ফোরক বোঝাই অ্যাম্বুলেন্সের শক্তিশালী আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অন্তত ৯৫ জনকে হত্যার দায় নিয়েছে তালেবান। গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে কাবুলের প্রাণকেন্দ্রে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই হামলায় আহত হয়েছে আরো কমপক্ষে ১৫৮ জন। কাবুলে গত সাতদিনের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র হামলার জন্য তালেবানের অনুসারী হক্কানি নেটওয়ার্ককে দায়ী করেছেন। অতীতে আফগানিস্তানের শহরকেন্দ্রিক ভয়াবহ অনেক প্রাণঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। গত শনিবার বিকেলে কাবুলের প্রাণকেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার আওতায় থাকা দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনের কাছে বিস্ফোরক ভর্তি একটি অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। বিস্ফোরণের পর কাবুলের জামহুরিয়াত হাসপাতাল, সরকারি বিভিন্ন ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আহমেদ নাউয়িদ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী আল-জাজিরাকে বলেন, দুটি তল্লাশি কেন্দ্রের মাঝে ওই হামলা হয়েছে। সেখানে সর্বত্রই লাল, রক্ত আর রক্ত। মানুষ কাঁদছে, চিৎকার করছে, জীবন বাঁচানোর জন্য ছুটছে। কাবুল থেকে জেনিপার গøাসি বলেন, আফগান কর্মকর্তারা এই হামলার ঘটনাকে গণহত্যা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, হামলার পর পরই আমরা রাস্তায় অনেক লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছি। হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিশশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের চালক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে প্রথম তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে জানায়, তিনি একজন রোগী হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দ্বিতীয় তল্লাশি চৌকির কাছে যাওয়ার আগেই অ্যাম্বুলেন্সটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর শহরের আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিস্ফোরণের কারণে কয়েক কিলোমিটার দূরে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তোলো নিউজ বলছে, বিস্ফোরণের পর শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে জরুরি সেবাদানকারী যানবাহনকে ঘটনাস্থলে ছুটতে দেখা যায়। দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের সহায়তা মিশন বলছে, হামলাকারীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সংস্থাটির প্রধান তাদামিচি ইয়ামামোতো এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজকের এই হামলা নৃশংসতা ছাড়া কিছুই নয়। যারা এই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছে অবশ্যই তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ