নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইমরান মাহমুদ : অনেকগুলো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জেতা হয়ে গেছে বাংলাদেশের। সা¤প্রতিক সময়ে সাফল্য এসেছে টেস্টেও। তবে এখনো কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি। মিরপুরের মাঠেই তিন তিনবার ফাইনালে উঠে হাতছাড়া হয়েছে ট্রফি। এবার মাশরাফি বিন মর্তুজাদের সামনে সুযোগ সব আক্ষেপ ঘোচানোর।
মিরপুরে ২০০৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে এই শ্রীলঙ্কার কাছেই জিততে জিততে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছিল ২ রানে। সেবার তীরে এসে তরী ডোবায় কেঁদে মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা। আক্ষেপ ঘোচাতে পারত ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনাল। তবে ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
তিনবার ফাইনালে গিয়েও উপমহাদেশের তিন প্রতিপক্ষের কাছে হেরে যাওয়ার ক্ষত কি এখনো আছে? আজকের ফাইনাল নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ককে ওই তিন ফাইনাল মনে করিয়ে দেয়ায় দিলেন মজার উত্তর, ‘এইটা আসলে আমার মাথায় ছিল না। মনে না করালেই পারতেন।’ তবে পরেই আবার দিয়েছেন ব্যাখ্যা, ‘এটা আসলে প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই নতুন সুযোগ। আমি হয়তো তিনটা ফাইনালে ছিলাম, মুশফিক ছিল, সাকিব ছিল, তামিমও ছিল হয়তোবা। তো এটা আমাদের জন্য নতুন আরেকটা সুযোগ। কালকে সম্পূর্ণ নতুন একটা ম্যাচ। আগের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবার দরকার মনে করছি না। তবে হারজিত তো থাকবেই, একদল জিতবে আর একদল হারবে। এটা নিয়ে না ভেবে আমার মনে হয় ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা উচিত।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চাপ না নিয়ে ইতিবাচক ক্রিকেটটাই খেলতে চায় বাংলাদেশ দল। হার জিত নিয়ে না ভেবে প্রথম তিন ম্যাচের খেলাটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। আগের ম্যাচ গুলোর মানসিকতাটা ধরে রাখার দিকেই জোড় দিয়েছেন টাইগার দলপতি, ‘কালকে (আজ) সম্পূর্ণ নতুন একটা ম্যাচ। তো আগের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবার দরকার মনে করছি না। তবে হারজিত তো থাকবেই, একদল জিতবে আর একদল হারবে। এটা নিয়ে না ভেবে আমার মনে হয় ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা আর প্রথম তিনটা ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, গতকালকের ম্যাচেও যে মাইন্ড সেটআপ নিয়ে খেলেছি সেই মাইন্ড সেটআপটুকু থাকুক।’
টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা বাংলাদেশ হঠাৎ করেই ধপাস করে মাটিতে। ৮২ রানে অলআউট হয়ে বিব্রতকর হার। ফাইনালের আগে এমন হারেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন মাশরাফি মর্তুজা।
টুর্নামেন্টে প্রথম তিন ম্যাচেই বিশাল সব জয় বাংলাদেশের। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম দেখাতেও ওদের ১৬৩ রানে উড়িয়ে দিয়েছিল। ৮২ রানে গুঁড়িয়ে যাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই নামতে হচ্ছে আরেক ম্যাচে। সেই ম্যাচ আবার ফাইনাল। অধিনায়ক মনে করছেন পা হড়কানোয় এখন সবাই থাকবে চিন্তায়, হবে সতর্ক আর তাতেই মিলবে ফল, ‘ফাইনালের আগে হারায় ওইদিক থেকে সমতায় এসেছে। সবাই মাঠে আরেকটু চিন্তায় থাকতে পারে মাঠে। এটাকে আমি ভালোভাবে দেখি কারণ এতে সবাই আরও সতর্ক থাকবে।’
সব ম্যাচ জিতলে দল থাকত আরও নির্ভার। সেই নির্ভার থাকাতে নেতিবাচক দিক দেখছেন মাশরাফি, ‘মানুষ সব সময় চায় না যে নির্ভার থাকতে। নির্ভার থাকা কিন্তু অনেক সময় পারফর্ম করতে অসুবিধাও করে। চিন্তায় থাকা অনেক সময় কাজে দেয়। এই দিক থেকে কালকের হারটা আমাদের কাছে ইতিবাচক হিসেবে এসেছে।’
প্রতিপক্ষের সা¤প্রতিক ফর্ম আর ঘরের মাঠের অবস্থা বিবেচনায় সব ম্যাচেই ফেভারিট ছিল বাংলাদেশ। এক ম্যাচে পা হড়কানো নিয়ে খুব বেশি আলাপ চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবাই প্রত্যাশা করছিল যে আমরা সব ম্যাচই জিতব। আমি বলে আসছিলাম ধারাবাহিকভাবে চার-পাঁচটা ম্যাচ ধরে রাখা আসলে এরকম টুর্নামেন্টে যেকোন দলেরই আপস-ডাউন থাকতে পারে। কালকে একটা বাজে দিন গিয়েছি, আমি চাই না যে এটা নিয়ে দলে খুব বেশি আলোচনা হোক।’
এই ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হলে ইতিহাসও হবে বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো কোন টুর্নামেন্টের ট্রফি হাতে নেওয়া হবে মাশরাফি-সাকিবদের। সেই উৎসবে সামিল হবার অপেক্ষা গোটা দেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।