Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধলেশ্বরীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী

| প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঢালিকান্দি এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে শতশত গ্রামবাসী। গ্রামবাসীরা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার প্রতিবাদে ঝাড়– মিছিল বের করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত গ্রমিবাসী ড্রেজারের পাইপে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল( শুক্রবার) দুপুরে হযরতপুর ইউনিয়নের ঢালিকান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
হযরতপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর মোঃ মজিবুর রহমান জানান, গত ১৫/২০ দিন যাবত ঢালিকান্দি এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে দেদারসে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদী থেকে উত্তোলিত বালু কলাতিয়ার আসান্দিপুর এলাকায় একটি জায়গায় ফেলে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে ক্ষমতাসীন দলের একটি গ্রæপ বালু বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ধলেশ্বরী নদীর উভয় পাড়ের ঢালিকান্দি, মধুরচর, হোগলাকান্দি জগন্নাথপুর, মানিক নগর, আসান্দিপুর, পশ্চিম ঢালিকান্দি ও হযরতপুর গ্রামে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এসব গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এভাবে নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ইতিমধ্যেই অনেক বসতবাড়ি ও কৃষিজমি ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়েই ৮/৯টি গ্রামের শত শত মানুষ ড্রেজার বন্ধের দাবিতে ঝাড়– মিছিল বের করে। মিছিলটি আসান্দিপুর এলাকায় নদীর পাড়ে এসে জমায়েত হয় এবং ড্রেজার বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে উত্তেজিত গ্রামবাসী এসময় ড্রেজারের পাইপে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। ঢালিকান্দি আওয়ামী লীগ নেত্রী কনা বেগম জানান, ইতিপুর্বেও নদীতে ড্রেজার বসিয়ে একটি চক্র দীর্ঘনি বালু উত্তোলন করায় তাদের গ্রামসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের অনেক বসতবাড়ি ও কৃষিজমি ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে অনেকই সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের বসতভিটা ও কৃষিজমি রক্ষার জন্য ড্রেজারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ছারা আর কোন পথ নেই। নদীতে ড্রেজিং করার বিষয়ে বিআইডবিøউটিএ-এর নদী ড্রেজিং প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আ,স,ম মাশরেকুল আরেফিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারী নীতিমালা মোতাবেক দেশের অভ্যন্তরিন নদীর নাব্য রক্ষার জন্য ৫৩টি নদী ড্রেজিং করা অনুমতি পাশ হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ধলেশ্বরী নদীর তুলসীখালী ব্রীজ থেকে মানিকগঞ্জের ঘিওর পর্যন্ত ৭৩কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করা হবে। বিভিন্ন প্রকার সার্ভে করার পরেই নদীতে ড্রেজিং করা হচ্ছে। ধলেশ্বরী নদীতে ড্রেজিং করার দ্বায়িত্ব পান বসুন্ধরা ড্রেজিং প্রকল্প। তারা সরকারী সকল নিয়মনীতি মেনেই নদীতে ড্রেজিং করছে। নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু প্রথমে সরকারী কিছু জমিতে ফেলা হয় ।পরে আসান্দিপুর এলাকায় একটি জায়গায় ফেলা হচ্ছে । যেভাবে নদী ড্রেজিং করা হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি হওয়ার কারন নেই। এই পদ্ধতিতে নদী ড্রেজিং করলে নদীর পাড়ের মানুষের বেশি উপকার হবে। বর্ষার সময় তাদের বাড়িঘর ও কৃষিজমি ভাঙ্গার কোন সুযোগ থাকবে না। এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, বিআইডবিøউটিএ-এর অনুমতি সাপেক্ষেই নদীতে ড্রেজিং করা হচ্ছে। অবৈধভাবে নদীতে ড্রেজিং করার কোন সুযোগ নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ