Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুর্দিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে সিরিয়ায় নতুন বাহিনী আঁতুড় ঘরেই ধ্বংসের ঘোষণা এরদোগানের

এ ধরনের বাহিনী তৈরি হলে সিরিয়া ভেঙে যাবে : ল্যাভরভ

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সিরিয়ার পূর্ব উপকূলে মার্কিন-সমর্থিত মিলিশিয়াদের নিয়ে একটি নতুন বাহিনী গঠনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে পরিকল্পনা করছে, তার প্রবল সমালোচনা করেছে সিরিয়ার সরকার, তার মিত্র রাশিয়া এবং তুরস্ক। প্রায় ৩০,০০০ সদস্য নিয়ে এই বাহিনীটি গঠিত হবে এবং এতে বিপুল সংখ্যায় থাকবে কুর্দি যোদ্ধা। সিরিয়া বলছে, এধরনের বাহিনী তৈরি করাটা হবে সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন। রাশিয়া বলছে, এই বাহিনী সিরিয়ার বিভক্তি ডেকে আনতে পারে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, তার ভাষায় ‘সন্ত্রাসী’ এই বাহিনীকে আঁতুড় ঘরেই ধ্বংস করে দেয়া হবে। আমেরিকানদের নেতৃত্বে যে কোয়ালিশন সিরিয়ায় বিরোধীদের সাহায্য করছে, তারা রবিবার ঘোষণা করে যে তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে একটি সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তৈরির প্রক্রিয়া তারা শুরু করেছে। এই বাহিনীর নাম দেয়া হয়েছে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। এর সদস্য হবে ৩০,০০০- যাদের অধিকাংশই আসবে কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী ওয়াইপিজি থেকে। তবে আরবরাও থাকবে। আর এই বাহিনীর কমান্ড বা নেতৃত্বে থাকবে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরোধী সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ। আমেরিকার নেতৃত্বে কোয়ালিশনের একজন মুখপাত্র রায়ান ডিলনকে উদ্ধৃত করে তুরস্কের দৈনিক হুরিয়েত জানিয়েছে, এই সীমান্ত রক্ষী বাহিনী শুধু তুরস্কের সীমান্তেই নয়, সিরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে ইরাকের সীমান্তেও মোতায়েন করা হবে। আর আমেরিকানদের এই পরিকল্পনা জানার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক এবং সিরিয়ায়। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মস্কোতে বলেছেন, এ ধরনের বাহিনী তৈরি হলে সিরিয়া ভেঙে যাবে। তিনি বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সিরিয়াকে ভাগ করার একটি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে - এ ধরনের উদ্বেগের যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। সবচেয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তুরস্ক, কারণ কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী ওয়াইপিজি তুরস্কের দু’চোখের বিষ। আঙ্কারা এদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে দেখে, যারা তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, আমেরিকার এই উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয় এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোন সন্ত্রাসী সংগঠনকে মোকাবেলার অধিকার তুরস্কের রয়েছে। বিবিসি।



 

Show all comments
  • সোহেল ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ৩:২৮ এএম says : 0
    মধ্য প্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকলের সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজন
    Total Reply(0) Reply
  • Jc ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১০:০২ এএম says : 0
    Every Muslim country should support Turkey's effort.
    Total Reply(0) Reply
  • Shafikulislam ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১০:০৭ এএম says : 0
    America ja korbe tar sobtai chukh buje mene nea jaina
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Ashiqure Rahaman ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১১:৫৩ এএম says : 0
    ধন্যবাদ প্রিয় এরদোয়ান!!! এখন আমেরিকা আর ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কুখ্যাত যুদ্ধবাজরা একটু হলেও স্তব্ধ হবে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mrinmoy Ghosh ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১১:৫৩ এএম says : 0
    কুর্দিরা পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত জাতি। বড় জনসংখ্যা থাকার পরও তাদের কোন স্বাধীন দেশ নেই।
    Total Reply(1) Reply
    • Md. Abdul Gaffar ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:৪৫ পিএম says : 4
      Tahole Filistinira Kee
  • Jewel Haque ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১১:৫৪ এএম says : 0
    এগিয়ে যাও বীর এরদোগান
    Total Reply(0) Reply
  • ৱেজাউল ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:৪৮ পিএম says : 0
    এৱদোগান তুমি এগিয়ে যাও ৷আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করুন ৷ আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • আজাদ ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ৭:২৭ পিএম says : 0
    ধন্যবাদ, প্রিয় নেতা
    Total Reply(0) Reply
  • আজাদ ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ৭:২৭ পিএম says : 0
    ধন্যবাদ, প্রিয় নেতা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরদোগানের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ