পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানে সফররত বিদেশীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান স্টাইলে নজরদারি ব্যবস্থা চালুর চিন্তাভাবনা করছে পাকিস্তান। মিডিয়ার এক বার্তায় এ খবর জানানো হয়। এক্সপ্রেস নিউজের রিপোর্টে বলা হয়, আন্তঃপ্রাদেশিক কমিটির বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে যে নজরদারি ব্যবস্থা চালু রয়েছে, পাকিস্তানেও বিদেশীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য সে রকম নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, বিদেশীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য এরকম একটা ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা জরুরি দরকার হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় আফগান ছাত্ররা লেখাপড়া করছে- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ রকম তথ্য জানানোর পর মন্ত্রী ওই মন্তব্য করেন। এই ধরনের ছাত্রদের সাথে সম্ভাব্য জঙ্গি যোগাযোগ সম্পর্কে বৈঠকে অবহিত করার পর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, এই সমস্ত ছাত্রের উপর নজরদারী রাখতে হবে এবং তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সচিব জানান, তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। শিগগিরই তাদের ব্যাপারে ভিসা নীতিও পরিবর্তন হতে পারে। গত এপ্রিলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিসার আলী খান বিদেশীদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছিলেন। ভিসা আইন সংশোধন ও আপডেট করার জন্যও সে সময় নির্দেশ দেন তিনি। পাকিস্তান থেকে আফগান শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ। একটি বেসরকারী টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাতকারে মন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আফগান সীমান্ত বরাবর বেড়া নির্মাণ শুরু করেছে পাকিস্তান। কারণ নিরাপত্তার জন্য সেটা জরুরি। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের উচিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দেয়া। এবং এ ব্যাপারে যা করণীয় তা করা। প্রতিবেশী আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র আর হাজার হাজার সেনার উপস্থিতি সেখানে শান্তি আনতে পারবে না। মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সূত্র ও রিপোর্ট অনুযায়ী আফগানিস্তানের আটটি থেকে নয়টি প্রদেশে তৎপরতা চালাচ্ছে দায়েশ। আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম রয়েছে বলেও জানান তিনি। আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, সেখানকার বিশাল এলাকার উপর আফগান সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অনেক সহযোগিতা করেছে পাকিস্তান। তবে, এখানে তাদের ব্যাপক ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হবে না। মন্ত্রী বলেন, কিছু বিদেশী শক্তি পাকিস্তানকে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না। তবে কোন বিদেশী হুমকিতেই দমবে না পাকিস্তান। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দেশের নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট সক্ষম বলেও মন্তব্য করেন এক্সপ্রেস নিউজ, সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।