নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিন এবারের আসরের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস (২১১) নিজেদের নামের পাশে লিখিয়ে নিয়েছিল চিটাগং ভাইকিংস। সপ্তাহ না ঘুরতেই সেই দলটিই পেল এবারের বিপিএলে সর্বনি¤œ দলীয় স্কোরের লজ্জা!
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নাসির হোসেন নিলেন ৫ উইকেট। দারুণ সঙ্গ দিলেন নাবিল সামাদ ও শরিফউল্লাহ। টসের পর মাত্র ৫৪ মিনিটেই চিটাগং গুটিয়ে গেল ৬৭ রানে, যা এবারের বিপিএলে সর্বনি¤œ দলীয় স্কোর। বিপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বনি¤œ। গেলপরশু রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের করা ৯৭ রানের স্কোরটিই ছিল আগের সর্বনি¤œ। এমন দিনে চিটাগংকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সিলেট সিক্সার্স বাঁচিয়ে রাখল শেষ চারের আশা। দলটি সময় নিয়েছে মাত্র ১১.১ ওভার।
বিপিএল-এর ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার কোন দল ১০ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জিতলো। সিলেট পর্বে প্রথম তিন ম্যাচ জয়ের পর সাত ম্যাচ বাদে গতকাল টুর্নামেন্টে চতুর্থ জয়ের স্বাদ পেল নাসির-সাব্বিরের দলটি।
একশর বেশি টি-টোয়েন্টি খেলে আগে কখনোই ম্যাচে ৩ উইকেটের বেশি পাননি। এবারের বিপিএলেও আগের ৯ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন মোটে ৬টি। সেই নাসির হোসেন এক ম্যাচেই নিয়ে নিলেন ৫ উইকেট! বিপিএলে গতকাল চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছেন সিলেট সিক্সার্স অধিনায়ক নাসির।
আবারও সেই মন্থর উইকেট। বল যেখানে গ্রিপ করল দারুণভাবে। তবে যত বাজে উইকেট, চিটাগং ভাইকিংসের ব্যাটিং হলো তার চেয়েও বাজে। সিলেট সিক্সার্সের তিন স্পিনারের বলে যেন তারা চোখে দেখল সর্ষে ফুল। সিলেট অধিনায়ক নাসির হোসেন স্পিন আক্রমণেও শিরোমনি। আগের দিনও মিরপুর প্রথম ম্যাচে ধুঁকেছে ব্যাটসম্যানরা। রংপুর রাইডার্সের ৯৭ রান তাড়ায় শেষ ওভারে গিয়ে জিতেছে কুমিল্লা। এদিন উইকেট ছিল আলাদা, তবে আচরণ প্রায় একইরকম। আগের দিনের মত অতটা অসমান বাউন্স যদিও ছিল না, তবে ভীষণ মন্থর।
টস জিতে বোলিং নিয়েছিলেন নাসির। সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণের ভার নিজেই নিয়ে নেন। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট!
শুরু করেছিলেন প্রথম বলেই ছক্কা হজম করে। তবে পরের বলেই লাইন মিস করে বোল্ড লুক রনকি। প্রথম ওভারেই শেষ বলে ফিরতি ক্যাচ দেন সৌম্য সরকার। নিজের পরের দুই ওভারে ফেরান লুইস রিস ও তানবীর হায়দারকে। শেষ ওভারে স্টিয়ান ফন জিলের উইকেট নিয়ে পূর্ণ ৫ উইকেট। ৪ ওভারের টানা স্পেলে ৩১ রানে ৫ উইকেট। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ৩ ওভারে ৭ রানে ৩ উইকেট বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদের। ৪ ওভারে ২৩ রানে দুটি অফ স্পিনার শরিফউল্লাহর। নাসিরের মতো বাকি দুজনেরও ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
টি-টোয়েন্টিতে নাসিরের আগের সেরা বোলিং ছিল ১২ রানে ৩ উইকেট। এই ম্যাচের প্রথম উইকেটটি নিয়ে পূর্ণ করেছেন টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেটও।
নাসির ছাড়াও সিলেটের পক্ষে নাবিল সামাদ ৭ রানে ৩ ও শরিফুল্লাহ ২ উইকেট নেন। ফলে ১২ ওভারে ৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় চিটাগং। প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিতে টস-এর পর ৫৪ মিনিট সময় লেগেছে সিলেট বোলারদের। বিপিএল-এর ইতিহাসে চিটাগং-এর স্কোরটি যৌথভাবে চতুর্থ সর্বনি¤œ দলীয় সংগ্রহ। চিটাগং-এর পক্ষে ব্যাট হাতে উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুর ১৫, ইংল্যান্ডের লুইস রিসি ১২, দক্ষিণ আফ্রিকার স্তিয়ান ভ্যান জিল ১১ ও সানজামুল ইসলাম ৯ রান করেন।
এই জয়ে ১১ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট সিলেটের। শেষ ম্যাচে যাদ তারা জেতে এবং রংপুর যদি হেরে যায় শেষ দুই ম্যাচে, তাহলে সেরা চারে থাকবে সিলেট। তবে দুই ম্যাচের একটি জিতলেও সেরা চারে উঠবে রংপুর। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতেই আছে চিটাগং ভাইকিংস।
চিটাগং ভাইকিংস : ১২ ওভারে ৬৭ (রনকি ৬, সৌম্য ০, রিস ১২, ফন জিল ১১, রাজা ১, তানবীর ৫, শুক্কুর ১৫, এমরিট ২, সানজামুল ৯, নাঈম ৩, তাসকিন ১*; নাসির ৫/৩১, তানভির ০/৬, শরিফউল্লাহ ২/২৩, নাবিল ৩/৭)।
সিলেট সিক্সার্স : ১১.১ ওভারে ৬৮/০ (রিজওয়ান ৩৬*, ফ্লেচার ৩২*, সানজামুল ০/১৩, নাঈম ০/২৬, রিস ০/১৪, তানবীর ০/১৫)।
ফল : সিলেট সিক্সার্স ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : নাসির হোসেন (সিলেট)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।