Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শান্ত-আফিফের পর শফিউল

সর্বোচ্চ দলীয় খুলনার

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম পর্ব শুরুই হয়েছিল রানবন্যার ম্যাচ দিয়ে। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ২১১ রান তুলে আসরটা জমিয়ে তুলেছিল স্বাগতিক চট্টগ্রাম ভাইকিংস। এর পর প্রায় সবক’টি ম্যাচই হয়েছে বড় স্কোরের। তবে গতকাল ছাপিয়ে গেল আগের সকল চড়াই-উতরাই। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ২১৩ রানের দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করায় কুলনা টাইটান্স। যার জবাবে সব কটি উইকেট হারিয়ে রাজশাহী করতে পারে ১৪৫ রান।
৬৮ রানের এই জয় আবারো কুলনাকে বসালো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে। ঠিক আগের ম্যাচে স্বাগতিক চট্টগ্রাম ভাইকিংসের কোয়ালিফায়ারের স্বপ্ন গুড়িয়ে শীর্ষে উঠেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। ৯ ম্যাচে খুলনার জয় ৬টি। সমান ম্যাচে মাত্র ৩ জয়ে তালিকার ছয় নম্বরে রাজশাহী।
জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও দেখা মেলে টি-টোয়েন্টিয় বিনোদনের। ড্যারেন স্যামির রাজশাহীর বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১৩ রান তোলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের দুই সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেইন এবং দুই বিদেশী রিক্রুট নিকোলাস পুরান ও কার্লোস ব্রেথওয়েট।
খুলনার শুরুটা ছিল অবশ্য ভালো ছিল না। ওপেনার শান্তর ভুলেই দলীয় ২৮ রানেই রান আউটে কাটা পড়েন আরেক ওপেনার রাইলি রুশো (৬)। এই ভুলই হয়তো অনূর্ধ্ব-১৯ দল মাতানো ভবিষ্যৎ তারকাকে উদ্বদ্ধ করে ৩১ বলে ৪৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলতে। দলীয় ৭৩ রানে জেমস ফ্রাঙ্কলিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে আটকা পড়েন শান্ত। একই ওভারে খুলনা টাইটান্স দলপতি মাহমুদউল্লাহকে ব্যক্তিগত ১ রানে বোল্ড করেন এই কিউই পেসার। তবে রানের চাকা সচল রাখেন আফিফ, যার আরেক নাম ধ্রæব। মাত্র ১১.৪ ওভারে দলীয় শতক পূরণ হয় খুলনার। ১৫.১ ওভারে পেরিয়ে যায় দলীয় দেড়শো! মাত্র ২৪ বলে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক তুলে নেন নিকোলাস পুরাণ। সেই ফ্র্যাঙ্কলিনের বলে ড্যারেন স্যামির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ৫৭ রানের ঝলমলে এক ইনিংস উপহার দেন ত্রিনিদাদের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তখনও অপর প্রান্তে জ্বলজ্বল করছেন ধ্রæব। মাত্র ৩৬ বলেই তুলে নেন দূর্দান্ত এক ফিফটি। শেষ দিকে ঝড়ো ১৪ বলে ৩৪ রান করেন ব্র্যাথওয়েট। আফিফ অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ রানও পেয়ে যায় খুলনা।
রাজশাহীর বিশাল লক্ষ্যের শুরুটা নড়বড়ে হয়ে যায় ১৩ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে। দুইজনই শফিউলের শিকার। পরে ড্যারেন স্যামি ও মুশফিকুর রহিমের উইকেটসহ শফিউল তুলে নেন ৫ উইকেট। রাজশাহীও গুটিয়ে যায় ১৯ ওভারে। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন রনি তালুকদার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটান্স : ২০ ওভারে ২১৩/৫ (শান্ত ৪৯, রুশো ৬, আফিফ ৫৪*, মাহমুদউল্লাহ ১, পুরান ৫৭, ব্রাথওয়েইট ৩৪, আরিফুল ১*; সামি ১/২২, ফ্র্যাঙ্কলিন ৩/৫০)।
রাজশাহী কিংস : ১৯ ওভারে ১৪৫ (রনি ৩৬, মিরাজ ২৯; শফিউল ৫/২৬, জায়েদ ২/৪৮)।
ফল : খুলনা টাইটান্স ৬৮ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা : নিকোলাস পুরান



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিপিএল

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ