নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিপিএলের লো স্কোরিং ম্যাচেও উত্তাপ ছড়িয়ে জিতল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে কুমিল্লা। টানা ৫ জয়ে ঢাকার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেল কুমিল্লা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঢাকার পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে ৯। ৬ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট কুমিল্লার।
ঢাকাকে হারতে হয়েছে মূলত একজন হাসান আলীর কাছে। ১৩তম ওভারেও সাকিব আল হাসানের দলের রান ২ উইকেটে ১০৪। সেখান থেকে তারা ১৮.৩ ওভারে গুটিয়ে গেল মাত্র ১২৮ রানে। শেষ ৭ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১৪ রান। ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ধ্বংসলীলায় মেতে ওঠেন পাকিস্তানি পেসার হাসান আলী। ৫টিই প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে!
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে লক্ষ্য মামুলি হওয়ায় কখনোই মনে হয়নি কুমিল্লা জিততে পারবে না। তবে দলীয় ১৭ ও নিজের শেষ ওভারে জস বাটলার ও সাইফুদ্দিনকে তুলে নিয়ে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মাদ আমির। কিন্তু তখনও কুমিল্লার অস্থার প্রতীক হয়ে ক্রিজে ছিলেন আরেক পাকিস্তানি শোয়েব মালিক। মেহেদী হাসানকে নিয়ে ২০ বলে ২৬ রানের সহজ হিসাব ২ বল হাতে রেখেই মিলিয়ে নেন শোয়েব। সাদমানের করা শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম তিন বলে দুটি চার ও চতুর্থ বলে এক সিঙ্গেলে কুমিল্লা ভক্তদের উল্লাসে মাতান শোয়েব। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করলেও ৫৩ বলে তার ৫৪ রানই হয়ে রয়েছে কুমিল্লার ইনিংসের প্রাণ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান (২৪ বলে) ইমরুল কায়েসের। ৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ রানের ছোট্ট ঝড় তুলে নারাইনের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হন তামিম। ১৭ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার নারাইন। আমির নেন ২৮ রানে ২টি।
এর আগে ঢাকার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। একাদশে এদিন ছিলেন না শহিদ আফ্রিদি। ইভিন লুইসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সুনিল নারাইন। দলীয় ১২ রানে দাঁড়িয়ে হাসান আলীর প্রথম ওভারে লুইস ও মেহেদী মারুফ বোল্ড হয়ে ফিরলেও অপর প্রান্তে নারাইন ছিলেন রুদ্রমূর্তিতে। তৃতীয় উইকেটে ৯২ রানের জুটিতে সাঙ্গাকারা করেন ৩০ বলে ২৮ রান। ১৪তম ওভারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে এক্সট্রা কাভারে তামিমের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরার আগে ৪৫ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন নারাইন। ঢাকার আর কোন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। দুই মেগা তারকা সাঙ্গাকারা ও কাইরন পোলার্ডের ভাগ্য কাটা পড়ে আউটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ডায়নামাইটস : ১৮.৩ ওভারে ১২৮ (নারাইন ৭৬, লুইস ৭, মারুফ ০, সাঙ্গাকারা ২৮, পোলার্ড ১, সাকিব ৩, মোসাদ্দেক ১, জহুরুল ২, সাদ্দাম ১, আমির ৬*, আবু হায়দার ০; মেহেদি ০/৩৩, হাসান আলী ৫/২০, রশিদ ১/১৭, শোয়েব ০/১৬, সাইফুদ্দিন ২/২৯, আল-আমিন ০/১২)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৯.৪ ওভারে ১২৯/৬ (তামিম ১৮, লিটন ০, ইমরুল ২০, শোয়েব ৫৪*, ড্যারেন ব্রাভো ১২, বাটলার ১১, সাইফুদ্দিন ৪, মেহেদি ৩*; আমির ২/২৮, আবু হায়দার ১/২৫, নারাইন ২/১৭, সাকিব ০/২৩, সাদ্দাম ১/৩৬)।
ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : হাসান আলী (কুমিল্ল)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।